Weather Update: অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি! কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় বাড়বে দুর্যোগ?
Bengal Weather: এবারে দক্ষিণবঙ্গে বেশ কিছুটা দেরিতেই প্রবেশ করেছে বর্ষা। দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে ২২ এবং ২৩ তারিখ একটু বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। তাপমাত্রা বেশ কিছুটা কমছে, তবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে।
সন্দীপ কর্মকার: তীব্র দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে বর্ষা আশার প্রতীক্ষায় দিন গুনছিল রাজ্যবাসী। এ বছর বর্ষা প্রবেশে দেরি হলেও এখন প্রবল বৃষ্টিতে সমস্যায় উত্তরবঙ্গ। কোথাও কোথাও যেন মেঘ ভাঙা বৃষ্টি। গত ২৪ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচটি জেলা অর্থাৎ দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বেশ কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টি কিছু জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে বিশেষ করে আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে।
আরও পড়ুন, Panchayat Election 2023: বিরোধীশূন্য ব্লক চাই, সোশ্য়াল মিডিয়ায় উদয়নের পোস্ট ঘিরে অস্বস্তিতে দল
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগের থেকেও কিন্তু বৃষ্টি বেশি হতে পারে এবার। ২১ এবং ২২ তারিখ এই দুদিনও কিন্তু উত্তরবঙ্গে লাল সর্তকতা জারি থাকছে। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে লাল সতর্কতা থাকছে। বৃষ্টি বেশি হওয়ার ফলে উত্তরবঙ্গে নদীতে জল স্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। দার্জিলিং এবং কালিম্পং এ পাহাড়ি জায়গায় ভূমিধসের সম্ভাবনা থাকছে। ২২ তারিখের পর থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি কমবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
অন্যদিকে, এবারে দক্ষিণবঙ্গে বেশ কিছুটা দেরিতেই প্রবেশ করেছে বর্ষা। দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে ২২ এবং ২৩ তারিখ একটু বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। তাপমাত্রা বেশ কিছুটা কমছে, তবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। যেহেতু বেশকিছু জায়গায় মেঘলা আকাশ থাকছে ফলে তাপমাত্রা আগামী কয়েকদিনে কমবে কিছুটা । আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতে বর্ষা প্রবেশ করবে বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের তরফে। রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে এখনও তাপদাহ চলছে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় ২৩ তারিখ নাগাদ বর্ষা প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
উত্তরবঙ্গে আগেই বর্ষা ঢুকেছে, তবে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা দুর্বল ভাবে ঢুকেছে। উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢোকার পর থেকে আজ পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়েছে। তার প্রভাব দেখাও যাচ্ছে। আজকে এবং আগামীকাল যে বৃষ্টি হবে তারও প্রভাব দেখা যাবে। চাষাবাদের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে এবং নদীতে জল স্তর বৃদ্ধি পাবে অনেকটাই। প্রবল বর্ষণের কারণে কিছু নদীর জল বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।