Panchayat Election 2023: বিরোধীশূন্য ব্লক চাই, সোশ্য়াল মিডিয়ায় উদয়নের পোস্ট ঘিরে অস্বস্তিতে দল
Panchayat Election 2023: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এখনও সরগরম রাজ্য। এনিয়েও কড়া কথা শুনিয়ে দেন উদয়ন। এবছর মার্চ মাসে তিনি এক সাংবাদিক সম্মেলনে সিবিঅম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আগামী মাসেই পঞ্চায়েত ভোট। মনোনয়ন পর্ব শেষ। প্রচার চলছে জোর কদমে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে গোলমাল ও হিংসার খবর আসছে। এর মধ্য়েই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। অঞ্চল সভাপতিদের কাছে দাবি, বিরোধী শূন্য ব্লক চাই। এনিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট করেছেন উদয়ন।
আরও পড়ুন-প্রতীক না পাওয়া কর্মীদের পাশে আছি, ভোটের আগে দলের অস্বস্তি বাড়ালেন হুমায়ুন
বুধবার এক ফেসবুক পোস্টে উদয়ন গুহ বলেন, দীপক ভট্টাচার্য-সহ ১২ অঞ্চল সভাপতি, অন্যান্য নেতাদের কাছে আমার দাবি বিরোধী শূন্য ব্লক চাই। উদয়নের ওই পোস্ট ঘিরে জেলা রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
উদয়নের ওই পোস্ট নিয়ে তৃণমূলের কোনও নেতার কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ওই পোস্ট ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব এনিয়ে বেশ অস্বস্তিতে। তবে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, দল কখনওই চায় না বিরোধীশূন্য ভোট হোক।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচিতে তিনি যেমন একদিকে বলছেন মানুষের মতামত নিয়েই প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। পাশাপাশি বিরোধীরা যাতে নির্ভয়ে মনোনয়ন দিতে পারে তার ব্যবস্থাও করা হবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। অবশ্য তাতে খুব বেশি লাভ হয়নি। বরং বহু জায়গায় বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছে। একইসঙ্গে দলের মধ্যেও অনেকে টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছেন।
অন্যদিকে, উদয়ন গুহ এক আগেও একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। রাজ্যপাল নিয়ে এরাজ্যে বিবাদ লেগেই রয়েছে। ২০১৭ সালে উদয়ন সোশ্য়াল মিডিয়ায় উদয়ন লিখেছিলেন, রাজ্যপালরা হলেন বাংলা সিনেমার বিধবা পিসি। কাজ নেই, শুধু খুঁচিয়ে ঝগড়া করে। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে পুরভোটের সময়ে উদয়ন হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, বাণেশ্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল। সেখানে তিনি উন্নয়নের কথা বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলেছেন। কিন্তু তিনি চলে যেতেই বিজেপির নেতারা ওই একই জায়গায় গিয়ে সভা করে পৃথক রাজ্যের দাবি করেছেন। কে ছিলেন সেই দলে? নিশীথ প্রমাণিক(Nisith Pramanik) ও তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতি রাভা(Malati Rava) আলাদা রাজ্যের দাবি করেছেন। একটা কথা জেনে রাখুন, যারা আলাদা রাজ্যের দাবি করবেন তাদের যদি হিম্মত থাকে তাহলে কোচবিহারের যে কোনও জায়গায় মিছিল করে আলাদা রাজ্যের দাবি করুন। আস্ত হাঁটু নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন না। এখানে থাকবেন আর আলাদা রাজ্যের দাবি করবেন?
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এখনও সরগরম রাজ্য। এনিয়েও কড়া কথা শুনিয়ে দেন উদয়ন। এবছর মার্চ মাসে তিনি এক সাংবাদিক সম্মেলনে সিবিঅম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন। পাশাপাসি তিনি বলেন, বাম আমলে মন্ত্রী ছিলেন তাঁর বাবা কমল গুহও। উদয়নের দাবি, 'বাম আমলে কোটায় চাকরি হত। বাবাও অনেককে চাকরি করে দেন'। 'কোনও পরীক্ষা হত না। নাম কা ওয়াস্তে ইন্টারভিউ হত। সিপিএম-র মতো ফরওয়ার্ড ব্লকও টাকার ভাগ পেত'। কীভাবে? উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর দাবি, 'কোচবিহারে প্রাথমিকের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ সিপিএম, ৩৫ শতাংশ ফরওয়ার্ড ব্লক, আর ৬ শতাংশ ছিল সিপিআই, আরএসপি'।