নিজস্ব প্রতিবেদন: দলের বৈঠকে হাজির খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানেই নেই দলের ৩ বিধায়ক। মুকুল রায় যেদিন দল ছাড়লেন সেদিনই বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে নেই এক সাংসদ সহ ৪ নেতা। ফলে এনিয়ে গুঞ্জন তৈরি হল জেলায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বঙ্গ BJP-তে লবিবাজি বন্ধ হোক, মুকুলের দল ছাড়ার দিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব অনুপম  


শুক্রবার বনগাঁয়(Bangaon) ছিল বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বৈঠক। বিজেপি রাজ্য সভাপতির কথা মতো দলের যেসব কর্মী এবার ভোটে পরিশ্রম করে দলের প্রার্থীদের জিতিয়েছেন তাদের উত্সাহ দিতে ও যারা ভোট দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ দিতে ওই বৈঠক ডাকা  হয়। কিন্তু বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার ৬ বিধায়কের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন মাত্র ৩ জন। বৈঠকে ছিলেন না সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও। ফলে অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় দিলীপবাবুকে(Dilip Ghosh)।


কেন এমন অনুপস্থিতি? এনিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, সবাইকে ডাকা হয়েছে। জেলার যেসব কর্মী ক্ষতিগ্রস্ত অনেকে তাদের সঙ্গে রয়েছেন। অনেক ত্রাণ নিয়েও ব্যস্ত রয়েছেন। অবশ্যই আসবেন। যদিও বৈঠক শুরু হয়ে গেলেও বিধায়ক বা সংসদের দেখা মেলেনি।


কারা ছিলেন না ওই বৈঠকে? এদিন ওই বৈঠকে ছিলেন না গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। সূত্রের খবর, অসুস্থতার কারণে তিনি আসতে পারেননি। ছিলেন না বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তানিয়া। ফোন সুইচড অফ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। পাশাপাশি, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিত্ দাস কলকাতায় ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন বলে খবর। ছিলেন না সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও।


আরও পড়ুন-জল্পনার অবসান, অবশেষে সামনে এল Nusrat-র Baby Bump


এদিন মুকুল রায়ের(Mukul Roy) তৃণমূলে যোগদান নিয়ে বেশিকিছু বলতে চাননি দিলীপবাবু। এনিয়ে তিনি বলেন, 'আমি কী করব।' রাজ্য হাজার হাজার কর্মী ঘরছাড়া। তাদের ঘরে ফেরানোই এখন আমাদের প্রধান কাজ। কে এল, কে গেল তা নিয়ে ভাবার সময় নেই। 


বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে দলের কিছু নেতার বেসুর নিয়ে দিলীপবাবু বলেন, 'কিছু লোক ভোটে জেতার জন্য বিধানসভার আগে এসেছিলেন। এরপর বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে বেসুরো হয়েছেন। তার জন্য দলের কোনো ক্ষতি হবে না,দলের সম্পদ দলের কর্মীরা। তারা দলের সঙ্গেই রয়েছেন।'


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)