বঙ্গ BJP-তে লবিবাজি বন্ধ হোক, মুকুলের দল ছাড়ার দিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব অনুপম
দলের অন্দরে লবি নিয়ে অনুপম হাজরা আরও লিখেছেন, এখনও সময় রয়েছে। বঙ্গ বিজেপির উচিত দলে লবি বাজি বন্ধ করা
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরার আগেই দলের ভোট স্ট্রাটেজি নিয়ে সরব হয়েছিলেন সব্যসাচী দত্ত। তাঁর দাবি ছিল, দলের কোনও বাঙালি মুখ ছিলেন না তাই মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। অবাঙালি বিজেপি নেতা দের কথা বুঝতেই পারেনি বিজেপি সমর্থকরা। এবার মুকুল রায় দল ছাড়ার দিনই দলে লবিবাজির অভিযোগ তুলে সরব হলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তবে ফেসবুকে দলের বিষয়ে মন্তব্য করার সময় একটি সতর্কবাণীও উচ্চারণ করেছেন অনুপম।
আরও পড়ুন-জল্পনার অবসান, অবশেষে সামনে এল Nusrat-র Baby Bump
শুক্রবার তৃণমূল ভবনে গিয়ে পুরনো দলে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায়। এনিয়ে এখনওপর্যন্ত সংবাদমাধ্যমে মুকুলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সরব অনুপম হাজরা। তবে আজ দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে অনুপম(Anupam Hazra) লিখেছেন, লবি বাজি করে দলের অধিকাংশ নেতাকে বসিয়ে রাখার ফল হয়েছে বিধানসভা নির্বাচনে। নির্বাচন চলাকালীন দলের মাত্র দু'একজন নেতাকে নিয়ে অতি মাতামাতি হয়েছে। যোগ্যাতা থাকা সত্ত্বেও অন্যান্য নেতাদের বসিয়ে রাখা হয়েছে। চাটার্ড ফ্লাইটে যাদের দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তারা আজ বেপাত্তা।
উল্লেখ্য, রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা নেই। যেসব কারণে কোনও জায়গায় ৩৫৬ ধারা জারি করা হয় তার থেকেও খারাপ অবস্থা বাংলার। এমনটাই মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। এর পাল্টা ফেসবুক পোস্টে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়(Rajib Banerjee) লেখেন, বারবার ৩৫৬-র জুজু দেখিয়ে কোনও লাভ হবে না। এতে মানুষের আস্থাই হারাবে। ফলে দলের নীতি নিয়ে অভিযোগ রয়েছে দলের অন্য অনেকেরও।
আরও পড়ুন-বিজেপি করা যায় না, মুকুল মানসিক শান্তি পেল, শরীরটা খারাপ হয়ে যাচ্ছিল: Mamata
দলের অন্দরে লবি নিয়ে অনুপম হাজরা আরও লিখেছেন, এখনও সময় রয়েছে। বঙ্গ বিজেপির উচিত দলে লবি বাজি বন্ধ করা। যোগ্যতা অনুয়ায়ী দলের বসে থাকা নেতাদের কাজে লাগানো। দয়া করে বসুরো তকমা লাগাবেন না। বঙ্গ বিজেপির অসময়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। বিজেপিতে আছি, বিজেপিতেই থাকবে। রাজ্যে বিজেপিতে লবি বন্ধ করার উদ্দেশ্যই আমার এই বার্তা।
অন্যদিকে, মুকুলের তৃণমূলে যোগদানি নিয়ে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, পুরনো দলে নতুন ইনিংস। মুকুল রায়কে শুভেচ্ছা। উনি যখন তৃণমূল ভবনে যান তখন উনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ও কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক। আশাকরি উনি ওইসব পদ ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)