নিজস্ব প্রতিবেদন : বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই খুন গোয়ালতোড়ের বিজেপি কর্মী। এর পিছনে কোনও রাজনীতির কোনও যোগ নেই। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনটাই জানিয়েছে পুলিস। পাশাপাশি খোকন মাণ্ডি খুনের ঘটনায় স্ত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতদের মধ্যে একজন নিহতের স্ত্রী লুদি মাণ্ডি ও আরেকজন প্রতিবেশী শংকর মাণ্ডি। সম্পর্কে যাকে 'দেওর' বলেন লুদি মাণ্ডি। এই শঙ্কর মাণ্ডির সঙ্গেই পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন লুদি মাণ্ডি। আর সেই সম্পর্কে পথের কাঁটা হয়ে পড়েছিলেন খোকন মাণ্ডি। আর তাই তাঁকে সরিয়ে দিতেই খুন করা হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করছে পুলিস।


আরও পড়ুন, ফাঁকা কামরায় অভিনেত্রীকে জড়িয়ে ধরে আরপিএফ কনস্টেবল! রাতের নামখানা লোকালে বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা



এদিন সকালে ঘরের মধ্যে থেকেই উদ্ধার হয় বিজেপি কর্মী খোকন মাণ্ডির রক্তাক্ত দেহ। দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে। কে বা কারা ওই খোকন মাণ্ডিকে খুন করল? কেন তাঁকে খুন করা হল? তা জানতে তদন্ত শুরু করে পুলিস। তদন্তের শুরু থেকেই পুলিস একপ্রকার নিশ্চিত ছিল যে, খুনের সঙ্গে পরিচিত কেউ জড়িত।


কারণ, গোয়ালতোড়ের কালীপুর আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা খোকন মাণ্ডি পেশায় গৃহশিক্ষক ছিলেন। গতকালও অন্যদিনের মতো পড়াতে গিয়েছিলেন। তারপর বাড়ি ফিরেছিলেন বেশ রাত করে। এরপর এদিন সকালে বিছানায় মেলে তাঁর রক্তাক্ত দেহ। মৃতের মাথার গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অর্থাৎ ভারী কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করেই খুন করা হয়েছে ওই বিজেপি কর্মীকে।


আরও পড়ুন, গোপনে ক্যামেরাবন্দি, পুরুলিয়ার কলেজ ছাত্রীর স্নানদৃশ্য ভাইরাল করল পড়শি যুবক!


পরিবার দাবি করে, খুন করা হয়েছে খোকন মাণ্ডিকে। এদিকে নিহতের স্ত্রী বলেন, খোকন মাণ্ডি অনেক রাতে বাড়ি ফিরেছিলেন। তিনি তখন ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এরপর আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি দেখেন, ঘরের বিছানার উপর পড়ে স্বামীর রক্তাক্ত দেহ। কে বা কারা ঘরের মধ্যে ঢুকে এসে খোকন মাণ্ডিকে খুন করল? কেন স্ত্রী কিছু টের পেলেন না? সবমিলিয়ে ঘনীভূত হয় রহস্য। খুনের ঘটনায় স্ত্রীর উপরই গিয়ে পড়ে প্রাথমিক সন্দেহের তির।