নিজস্ব প্রতিবেদন : সোদপুরে দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মধুচক্র চালানোর অভিযোগে একবার গ্রেফতার হয়েছিলেন শ্রিপাদেবী। সেইসময় ৩ মাস জেলে খাটেন তিনি। কিন্তু তারপরেও কিছুতেই বুঝিয়ে-সুঝিয়ে স্ত্রীর স্বভাব সংশোধন করতে পারেননি বিপ্লব। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেহিসেবি খরচ, সুদে টাকা খাটানো আর লাগামহীন জীবনযাপন নিয়ে স্ত্রী শিপ্রার সঙ্গে ঝামেলা লেগেছিল বিপ্লববাবুর। আর এর জেরেই স্ত্রীকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হন বিপ্লব চক্রবর্তী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এদিন সকালে সোদপুরের ইন্দ্রলোকে একই ঘর থেকে উদ্ধার হয় স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ। পুলিস সূত্রে খবর, স্বামী বিপ্লব চক্রবর্তী (৫০)কে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে স্ত্রী শিপ্রা  চক্রবর্তী (৪০)কে ঘরের জানালার সঙ্গে গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।


বাড়িমালিক সুব্রত দাস জানান, বছরখানেক আগে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন বিপ্লব চক্রবর্তী। এলাকায় সবাই তাঁদেরকে ভালো পরিবার বলেই জানত। তবে মাঝেমধ্যে সাংসারিক অশান্তি হত। যার বেশিরভাগই টাকাপয়সা সংক্রান্ত ছিল। কিন্তু, তার পরিণতি যে এমনটা হতে পারে, তা মোটেই আন্দাজ করা যায়নি।


আরও পড়ুন, ভাড়াবাড়ির ঘর থেকে উদ্ধার যুবতীর রক্তাক্ত দেহ, আটক প্রেমিক ও ৩ রুমমেট


আজ সকাল ১১টা নাগাদ ব্যাঙ্কে যাওয়ার সময় ঘরের জানলা-দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হয় বাড়িমালিক সুব্রত দাসের। তারপরই উদ্ধার হয় দেহ দুটি। দম্পতির ছোট মেয়েই প্রথম বাবা, মা-কে ওই অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ঘোলা থানার পুলিস। পুলিস এসে দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।