নিজস্ব প্রতিবেদন: ফেসবুকে পরিচয় থেকে প্রেম। বিয়ের ব্যবস্থাও পাকা। তবে সব ভেস্তে দিল একটা ফোন। আচমকাই প্রেমিক ফোন করে জানায় বিয়ে করা সম্ভব নয়। আর এর পরেই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্য়া করে কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের কাঞ্চনপল্লীতে। অভিযুক্ত যুবক পলাশ কুন্ডুর নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত কিশোরীর পরিবার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরিবার সূত্রে খবর, ফেসবুকেই পরিচয় হয় রায়গঞ্জ শহরের কাঞ্চনপল্লীর বাসিন্দা ওই কিশোরীর সঙ্গে  তাড়কেশ্বরের বাসিন্দা পলাশ কুন্ডুর। এরপরই সম্পর্ক তৈরি হয় দু-জনের মধ্যে। বাড়ি ছেড়ে পালিয়েও যায় দুজন। এরপর মালদহ স্টেশনে জিআরপি তাদের ধরে দুই পরিবারের হাতে তুলে দেয়। ঘটনার কিছুদিন পর পরিবারের সদস্যরা দুজনের সামাজিক বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। 


আরও পড়ুন: করোনা সন্দেহে একের পর এক হাসপাতালে 'রেফার'! চিকিৎসা মেলেনি, তীব্র শ্বাসকষ্টে রাস্তাতেই মৃত্যু রোগীর


আর এরপরই ওই যুবক জানায়, কিশোরীকে বিয়ে করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। যুবকের ফো পেয়ে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে কিশোরী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। 


বিয়ে প্রত্যাখ্যান করার কারণেই তাঁর বোন আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ মৃতার কিশোরীর দাদা সিদ্ধার্থ পাশমানের। দোষীর কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছে কিশোরীর পরিবার। কিশোরীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিস।