প্রবীর চক্রবর্তী: শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন নওশাদভাই যদি ডায়মন্ডহারবারে লড়াই করেন তাহলে 'ভাইপো' থার্ড হবে। শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির সভা থেকে দাঁড়িয়ে পাল্টা চ্য়ালেঞ্জ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি ডায়মন্ডহারবারে এবার বিরোধী প্রার্থীর সঙ্গে ৪ লাখের ব্যবধান হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'সব সহযোগিতা করা হচ্ছে, ব্লকেজ দিতেও রেডি', নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর রুট নিয়ে মেট্রোকে পালটা লালবাজারের


প্রবল গরম ভরা সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস তৈরির পরে ২০০১ সালে এই জেলার ১৪ আসনে জিতিয়েছিলেন। তখন থেকে তৃণণূলের সঙ্গে একটা আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েতে প্রথম পরিবর্তন চাকা ঘুরিয়েছিলেন। ২০২১ সালে বিজেপির ফাঁদে পা না দিয়ে ৩১ আসনে ৩০ আসন এই জেলা দিয়েছিল। ২০১৯ সালেও চার লোকসভা আমাদের দিয়েছেন। এবার শুধু আবেদন করব, আপনারা জয়ের মার্জিন বাড়ান।
২০১৯ সালে মথুরাপুর আড়াই লক্ষ ভোটে জিতিয়েছিলেন। এবার ৫০ হাজার হলেও আপনারা বাড়ান। মথুরাপুরের সার্বিক উন্নয়ন আমার দায়িত্ব। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি। ডায়মন্ড হারবার চার লাখ মার্জিন হবে। এখানে তিন লাখ হবে।


নির্ধারিত সময়ের খানিকটা আগেই সভায় চলে আসেন অভিষেক। সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, দুপুর ১২'টা থেকে যে ভিড়ের ছবি দেখেছি তাতে ৪০ মিনিট আগেই এসেছি।  ২০২১ সালের ভোটের প্রাক্কালে আমি এই মাঠে সভা করেছিলাম। ফেব্রুয়ারি মাসে সভা করেছিলাম। আজ মার্চের শেষ করছি। সেদিনের থেকেও আজ এই সভায় উপস্থিতি বেশি। আমি যা কথা দিয়েছি রেখেছি। সব বুথে, অঞ্চলে, গ্রামে, শহরে মানুষকে বোঝাতে হবে। চোখে দেখে সিদ্ধান্ত নিন। কানে শুনে নয়। ইয়াস, আমপান, কোভিড তৃণমূল কংগ্রেস পাশে ছিল। যে পাশে ছিল তার পাশে থাকুন।


রাজ্য সরকারের সুযোগ সুবিধে নিয়ে অভিষেক বলেন, আগামী পরশু দিন থেকে মাসে ১ হাজার ও ১২০০ করে টাকা পাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২ কোটি বেশি মানুষকে লক্ষ্মীর ভান্ডার দিচ্ছে। এর জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। এর জন্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কোনও ভূমিকা নেই।


মোদী সরকারকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, এক দিকে যে বহুরকম গ্যারান্টি দিচ্ছে সে ২০০০ কিমি দূরে থাকে। ৮০০০ কোটির বিমানে চেপে বিদেশে যায়, আর ভোট আসলে ঘুরে বেড়ায়। আর একজন এখান থেকে ৫০ কিমি দূরে টালির চালের বাড়িতে থেকে মানুষের কাজ করে। বিজেপি বলছে লক্ষ্মীর ভান্ডার দেবে। আবার ৩ হাজার করে দেবে বলছে। ১৭ রাজ্যে আছে বিজেপি। সেখানে ৩ হাজার নয় ১৫০০ দিক। আমার ওপেন চ্যালেঞ্জ। লক্ষ্মীর ভান্ডার দিতে হবে না। এর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। আপনারা আগামী ৫ বছরের জন্য গ্যাস বিনামূল্যে করে দিন। যদি করতে পারেন তাহলে ৪২ আসনে প্রার্থী তুলে নেব। মোদী বলছেন প্রার্থীদের ইডির বাজেয়াপ্ত হওয়া ৩০০০ কোটি টাকা মানুষদের ফেরত দেবেন। দেশে ১৪০ কোটি মানুষ আছে। তাদের ফেরত দিলে সবাই ২১ টাকা করে পাবেন। এরা ২১ টাকার জন্য ভোট চাইছে। গরম পড়েছে। বিজেপির নেতাদের পাগলামি বেড়েছে। বাড়ির টাকা প্রায় ৫ বছর ধরে আটকে রেখেছে। এদের চ্যালেঞ্জ করেছি প্রায় ৩৮০ ঘন্টা হয়ে গেল। আজ ১৬ দিন হয়ে গেল। এদের দয়া দাক্ষিণ্যে বেঁচে নেই। বাড়ির টাকা দেওয়া হবে। সরকার দেবে। এবছরের শেষে প্রথম ইন্সটলমেন্ট। ভোটের আগে এই দেব, ওই দেব, জুমলা হয়েছে। ডায়মন্ড হারবারে তো প্রার্থী পাচ্ছে না। চার আসন ফাঁকা রয়েছে। সেখানে ইডি ডাইরেক্টর, সিবিআই ডাইরেক্টর, আইটি ডাইরেক্টর ও এনআইএ ডাইরেক্টরকে দাঁড় করাক।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)