গুপ্তধনের খোঁজে অন্ধকার, স্যাঁতসেঁতে বন্ধ ঘরে ঢুকতেই পিছন থেকে পড়ল ঘাড়ে হাত...
বুধবার কোনওভাবে খবরটা কানে এসেছিল গোপালপুরেরই কয়েকজন যুবকের। ছক করেই তারা হানা দেয় সেখানে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বন্ধ পড়ে রয়েছে গোডাউন। সারি সারি সাজানো তাতে স্টক। দরজা ফাঁক করে উঁকি দিতেই চক্ষু চড়কগাছ ওঁদের। অতঃপর লোভ কী আর সামলানো যায়! দু-একটা বিদেশি নামিদামি বোতল পকেটে পুড়লে আর কী-ই বা যায় আসে, ভেবেই হয়তো হাত বাড়িয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাতেই হাতেনাতে ধরা পড়লেন পুলিসের হাতে।
আরও পড়ুন: বাসে পাশে বসেই এক মহিলা এই ব্যক্তির সঙ্গে যা করলেন...
আসানসোল দক্ষিন থানার সাউথ পুলিশ পোষ্টের অন্তর্গত গোপালপুর এলাকায় অনেকদিন ধরেই বন্ধ ছিল একটি মদের দোকান, পিছনেই ছিল গোডাউন। ঝোপঝাড় আগাছায় ভরে গিয়েছে এলাকা। কার্যত একটি ভূতুড়ে বাড়ির চেহারা নিয়েছিল এলাকা। দিনেরবেলাতেও সেখানে পা ফেলতে ভয় পেতেন অনেকে। কিন্তু ওই দোকানের মধ্যেই ছিল লুকিয়ে ছিল কয়েক লক্ষ টাকার ‘গুপ্তধন’, তা জানতেন না অনেকেই।
আরও পড়ুন: বাবার শাস্তি মেয়েকে! এ কেমন অভিভাবক? আলিপুর স্কুলের যৌননির্যাতনকাণ্ডে উঠছে প্রশ্ন
বুধবার কোনওভাবে খবরটা কানে এসেছিল গোপালপুরেরই কয়েকজন যুবকের। ছক করেই তারা হানা দেয় সেখানে। বন্ধ মদের কারখানা ও গোডাউন থেকে আসবাবপত্র ও স্টক করে রাখা মদের বোতল চুরি করতে গিয়েই বিপত্তি। পিছন থেকে হাজির উর্দিধারী পুলিস। বিদেশি মদের বোতল চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে ৬ জন।
আরও পড়ুন: সাইকেলের পাশে মাটিতে পড়া ১২০টাকা তুলতে গিয়ই নিঃস্ব হলেন রেশন ডিলার
পুলিস জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই এলাকায় দুষ্কৃতী রাজ চলছিল। বন্ধ মদের কারখানা থেকে স্টকে থাকা মদ লুটপাট চালাচ্ছে দুস্কৃতিরা। সেগুলি বাজারে চড়া দামে বিক্রিও হচ্ছিল। খবর পেয়েই ইদানীং ওই এলাকায় পাহারা দিচ্ছিলেন পুলিস কর্মীরা। বুধবার রাতে ৬ জন চুরি করতে গেলেই তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়।