ভবানন্দ সিংহ: একজনের বয়স তিন, আর একজনের দুই। দুই শিশুপুত্রকে নিয়ে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে আশ্রয় নিয়েছেন এক আদিবাসী মহিলা। দিন কাটছে খোলা আকাশের নিচে। বাড়িতে আর ফিরতে চান না তিনি!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম ছিত সোরেন। বাপের বাড়ি রায়গঞ্জ ব্লকের শেরপুরে। আর শ্বশুরবাড়ি? কালিয়াগঞ্জে। অথচ এক বছরের ধরে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিকের সামনে রাস্তায় থাকছেন ওই আদিবাসী মহিলা। সঙ্গে আবার দুই শিশুপুত্র। মাথার উপরে খোলা আকাশ। যখন বৃষ্টি পড়ে, তখন ছেলেদের নিয়ে চলে যান হাসপাতালে করিডোরে, শেডের নিচে।  ঘর ছাড়লেন কেন? ছিত সোরেনের দাবি, 'শ্বশুরবাড়িতে স্বামী মারধর করে। বাপের বাড়ির লোকেরা থাকতে দেয় না'। বাধ্য হয়েই দুই সন্তানকে নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে আশ্রয় নিয়েছেন। অত্যাচারের ভয়ে ফিরতে চান না বাড়িতে। হাসপাতালে কর্মীরা নিয়মিত খাবার দেন ওই মহিলা ও দুই সন্তানকে। জামা-কাপড়ও দিয়ে যান কেউ কেউ। এভাবেই দিন কেটে যায়।  


আরও পড়ুন: Kanyashree: দিলীপের প্ল্যাকার্ডে 'কন্যাশ্রী' হল 'কন্নাশ্রী', তীব্র কটাক্ষ তথাগতর


জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের এই অসহায় মহিলার পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছেন রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মী সংগঠনের সভাপতি প্রশান্ত মল্লিক। তাঁর কথায়, 'বহুদিন ধরেই দেখছি, ওই মহিলা তাঁর দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে হাসপাতাল চত্বরেই থাকছেন। আমরা কিছু সাহায্য করি'। খারাপ লাগে রোগীর আত্মীয়দের। তাঁরাও চান, 'প্রশাসন কিছু একটা ব্যবস্থা করুক'। বিষয়টি পুলিস-প্রশাসনকে জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের সহকারী সুপার অভীক মাইতি। কাজ হবে তো? সেটাই এখন দেখার। 


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)