নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতিদিন গড়ে ৭৮২০ জন! সংখ্যাটা আরও বাড়বে বই কমবে না। এটি একটি বিশেষ রেলরুটের গড় যাত্রীসংখ্যা। একসঙ্গে এত মানুষ উপকৃত হতে চলেছেন ওই বিশেষ রেলরুটির বিদ্যুদয়নের ফলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রুটটি বাঁকুড়া-মশাগ্রাম (bankura-masagram) । ১১৮ কিলোমিটার এই রেলপথের বিদ্যুদয়নের কাজ সম্পূর্ণ। নতুন ওই ট্র্যাকে ট্রেনও ছুটবে অচিরে। এর ফলে অগণিত রেলযাত্রী উপকৃত হবেন। কেননা রেলযাত্রার সময় এক ধাক্কায় অনেকটা কমবে। কমেছে দূরত্বও। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল হিসাবেও বিবেচিত এই রুটটি।


বর্ধমানের (burdwan) মশাগ্রাম থেকে বাঁকুড়া রুটে চলাচল করে যেসব ট্রেন সেগুলির সুবিধা বাড়ল। মোটামুটি পাঁচজোড়া ডেমু ট্রেন এ পথে এখন চলাচল করে (বিদ্যুদয়নের পরে ট্রেনসংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা আছে কিনা, সেবিষয়ে অবশ্য এখনই কিছু জানা যায়নি)। 


এই ট্রেনগুলি ছাড়া নর্থ-ইস্টের যেসব ট্রেন পূর্ব বা দক্ষিণে যায়, সুবিধা হল সেগুলিরও। সময় কমল, দূরত্ব কমল। এবং সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, ওই ট্রেনগুলিকে আর এই রুটে ইঞ্জিন বদলে নিতে হবে না। ইলেকট্রিফিকেশনের ফলে এর পর থেকে এই সব ট্রেনও মসৃণ ভাবে নিজেদের গন্তব্যে চলে যেতে পারবে।  


২০১৮-১৯ সালে সব মিলিয়ে ৩০টি স্টেশনের এই রেলপথে বিদ্যুদয়নের কাজ শুরু হয়েছিল। ১০৭ কোটি টাকার প্রজেক্ট ছিল এটি।


মূল প্রজেক্ট সম্পূর্ণ হওয়ার আগে একটা ছোট্ট ধাপ শুধু আছে। এই রেলরুটে আসলে দুই মশাগ্রাম--একটি ইস্টার্নের, অন্যটি সাউথ ইস্টার্নের। দুই মশাগ্রামের মধ্যে ২০০ মিটারের তফাত। এই দু'টি মশাগ্রামের মধ্যে বিদ্যুৎসংযোগ সংক্রান্ত কাজ হয়ে গেলেই এই পথের রেলযাতায়াত আরও সুগম হবে।


আরও পড়ুন: Live: রথে ফূর্তি চলছে, জগন্নাথের রথযাত্রাকে কালিমালিপ্ত করছে : রায়গঞ্জে Mamata


বিদ্যুদয়নের ফলে অবশ্যই দূষণ কমবে। এর ফলে এই রুটে সামগ্রিক রেলযোগাযোগ আরও নিখুঁত ও মসৃণ হবে।


আদিতে বাঁকুড়া-দামোদর রেলপথ, যা 'বিডিআর' রেলপথ নামেই বেশি পরিচিত, তা ছিল ন্যারোগেজ। ১৯৯৮ সালে এটি ব্রডগেজে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত হয়। এবং তখনই এটিকে হাওড়া-বর্ধমান কর্ডলাইনের মশাগ্রামের সঙ্গে যুক্ত করার কথাও ভাবা হয়।


নতুন এই রুটে বাঁকুড়ার মানুষ কলকাতার দিকে আসতে গিয়ে আগের চেয়ে অনেক কম দূরত্ব অতিক্রম করছেন। ফলে সময়েরও সাশ্রয় হচ্ছে। মশাগ্রাম হয়ে যেতে পারার ফলে হাওড়া-বাঁকুড়া রুটের ২৩১ কিলোমিটার দূরত্ব এক ধাক্কায় ১৮৫ কিলোমিটারে নেমে এসেছে। 


আরও পড়ুন: 'প্রার্থী দেখবেন না, এটা আমার ভোট', একুশে ফিরলেন ষোলোর Mamata