শ্বশুরবাড়িতে আত্মঘাতী যুবক, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট `ভুয়ো`, মিলল না দাহ করার ছাড়পত্র
পাশাপাশি তাঁরা বারুইপুর শ্মশান কর্তৃপক্ষের বক্তব্য উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করে কিভাবে ময়নাতদন্ত না করে হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেওয়া হল। তাদের আরও দাবি প্রতাপ আত্মহত্যা করেনি তাঁকে খুন করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট থানা এলাকার বাসিন্দা প্রতাপ বৈদ্য। পেশায় একটি বেসরকারি সংস্থার গাড়িচালক। মহালয়ার রাতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে কলকাতার চেতলা ৯বি এলাকায় নিজের শ্বশুরবাড়িতে আত্মঘাতী হন তিনি। এরপরই শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোনে তাঁর মৃত্যু খবর জানানো হয় পরিবারের লোকজনকে। খবর দেওয়া হয় পুলিসকেও। চেতলা থানার পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
এই পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। বিপত্তি ঘটে পরিবারের লোকজন যুবকের মৃতদেহ হাতে নেওয়ার পরে। দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দিলে তাঁরা মৃতদেহ শেষকৃত্য করতে বারুইপুর শ্মশানে নিয়ে যায়। সেখানেই মৃতদেহ শেষকৃত্য করার সময় শ্মশানের লোকজন মৃতদেহ দেখার পর জানায় , দেহ ময়নাতদন্ত করা হয় নি। শুধুমাত্র ভুঁয়ো সেলাই করে ময়নাতদন্তের শংসাপত্র তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই মৃতদেহ শেষকৃত্য করতে অনুমতি দেয়নি বারুইপুর শ্মশান কর্তৃপক্ষ।
মৃতদেহ দাহ করাতে গিয়ে এই কথা শোনার পর প্রতাপের মৃতদেহ পুনরায় ময়নাতদন্ত করানোর জন্য ডায়মন্ডহারবার মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হন মৃত প্রতাপের পরিবার। পাশাপাশি তাঁরা বারুইপুর শ্মশান কর্তৃপক্ষের বক্তব্য উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করে কিভাবে ময়নাতদন্ত না করে হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেওয়া হল। তাদের আরও দাবি প্রতাপ আত্মহত্যা করেনি তাঁকে খুন করা হয়েছে।
কীভাবে মৃত্যু বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্তের? ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিস
তাই ভুঁয়ো ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তি মহকুমাশাসকের নির্দেশে চেতলা থানা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।পরিবার সূত্রে জানা গেছে বছর দুয়েক আগে চেতলার ৯বির বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা পন্ডিতের সাথে ভালোবাসা করে বিয়ে করেন প্রতাপ বৈদ্য। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়িতে থাকত প্রতাপ বৈদ্য।