কীভাবে মৃত্যু বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্তের? ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিস

তদন্ত করছেন হোমিসাইড শাখার দুঁদে কর্তারা। তবে শর্বরী দত্তের মৃত্যু ও ঘটনা পরম্পরার বেশ কিছু বিষয় নিয়ে ধন্দ তৈরি হচ্ছে।

Reported By: অয়ন ঘোষাল | Updated By: Sep 18, 2020, 10:24 AM IST
কীভাবে মৃত্যু বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্তের? ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিস
ফাইল চিত্র

অয়ন ঘোষাল:  বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্তের মৃত্যু অস্বাভাবিক। আগেই তা স্পষ্ট করেছে পুলিস। এই কেসে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রজু হয়েছে। তদন্ত করছেন হোমিসাইড শাখার দুঁদে কর্তারা। তবে শর্বরী দত্তের মৃত্যু ও ঘটনা পরম্পরার বেশ কিছু বিষয় নিয়ে ধন্দ তৈরি হচ্ছে।
যেমন...

এক.  বাড়ির লোকের বয়ান অনুযায়ী, শর্বরী দত্ত হরমোনাল ওষুধের ওভার ডোজে বাথরুমে মাথা ঘুরে পড়ে যান। সেখানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিস যখন যায়,  তখন মৃতদেহ বেডরুমে বিছানায় শোয়ানো ছিল। বাড়ির লোক হঠাৎ মৃতদেহ সরাতে কেন গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

দুই. শর্বরী দত্তের ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান এসে দেহ পরীক্ষা করে ডেথ সার্টিফিকেট দেন। বাড়ির লোকের বক্তব্য, তাঁরই পরামর্শে দেহ বাথরুম থেকে বেডরুমে শিফট করা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, এটি অস্বাভাবিক মৃত্যু। পুলিশ কেস। তাও একজন পেশাদার ডাক্তার বাড়ির লোককে দেহ শিফট করার পরামর্শ দিলেন কেন?

তিন. শর্বরী দত্ত জ্ঞান হারিয়ে চিৎ হয়ে পড়ে যান বা পড়ে ছিলেন বলে বাড়ির লোক পুলিসকে জানিয়েছেন। এইভাবে কেউ পড়লে তাঁর মাথার পিছনে আঘাত লাগে। প্রাথমিকভাবে মাথার পিছন দিকে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। ইন্টারনাল আঘাত আছে কিনা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে।

চার. পুলিসকে সব থেকে বেশি ভাবাচ্ছে শর্বরী দত্তের বা পায়ের গোড়ালির নিচে একটি টাটকা কাটা দাগ। মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার সঙ্গে কোনওভাবেই এই দাগের সম্পর্ক নেই। দাগ এলো কোথা থেকে?  এটা কি কোনও অস্ত্রের দাগ নাকি অন্য কিছু,  জানা যাবে ময়নাতদন্তের পর।

বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্তের অস্বাভাবিক মৃত্যু, বাড়ির শৌচাগার থেকে উদ্ধার দেহ

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ কড়েয়া থানা এলাকার ব্রডস্ট্রিটের বাড়ির বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্তের দেহ। তাঁকে বাথরুমে পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। ডাকা হয় পারিবারিক বন্ধু ও চিকিৎসক অমল ভট্টাচার্যকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কড়েয়া থানা ও কলকাতা পুলিসের হোমিসাইড শাখা।

.