সহকর্মীদের এটিএম কার্ড `হাতিয়ে` অভিনব উপায়ে টাকা চুরি যুবকের, পুলিসও অবাক!
কেউ প্রথমে ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারত না যে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা খরচ হয়েছে। এমনই সুকৌশলে পুরো কাজটি সারা হত।
নিজস্ব প্রতিবেদন : সহকর্মীদের এটিএম কার্ড 'চুরি' করে দিনের পর দিন জালিয়াতি। বুদ্ধি খাটিয়ে তত্পরতার সঙ্গে বেশ অভিনব উপায়ে হাতসাফাই। অবশেষে পুলিস জালে ধরা পড়ল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম বিশ্বজিত জানা।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিত পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার একটি বেসরকারী হাসপাতালে কর্মরত ছিল বিশ্বজিত। অভিযোগ, দিনের পর দিন সহকর্মীদের অসাবধনাতার সুযোগ নিয়ে চলছিল সে। যখনই কোনও সহকর্মী তাঁর মোবাইল ও মানিব্যাগ অফিসের টেবিলে বা ড্রয়ারে রেখে কোনও জরুরি কাজে উঠে যেতেন, সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে হাতসাফাই করত বিশ্বজিত।
আরও পড়ুন, ২৭ কেজি মহিলার শরীরে ৭ কেজির টিউমার!
অভিযোগ, বিশ্বজিত প্রথমে সহকর্মীর মোবাইল ও মানিব্যাগ থেকে তাঁর এটিএম কার্ডটি 'চুরি' করত। তারপর সেই এটিএম কার্ড দিয়েই চলত কেনাকাটা। যাতে কেউ কিছু বুঝতে না পারে, এটিএম কার্ড দিয়ে দাম মেটানোর পর, সহকর্মীর মোবাইলে আসা ওটিপি নম্বরটি মুছে দিত বিশ্বজিত। একইসঙ্গে মুছে দিত টাকা খরচের এসএমএসও।
এই পুরো পর্বটিই অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সারত বিশ্বজিত। কাজ হয়ে গেলে আবার জায়গার জিনিস জায়গায় রেখে দিত সে। ফলে প্রথমে কেউ-ই ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারত না যে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা খরচ হয়েছে। অভিযোগ, এভাবে সহকর্মীদের কার্ড চুরি করে বিগত ৩ মাস ধরে বিশ্বজিত প্রায় ৭০,০০০ টাকার কেনাকাটা করে।
আরও পড়ুন, লাঠিসোটা, অস্ত্র নিয়ে বরযাত্রীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল ডাকাতদল, লুঠ সর্বস্ব
দিনদুয়েক আগে বিশ্বজিতের কার্যকলাপে সন্দেহ হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কাঁকসা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সৃজিতা কুণ্ডু নামে এক চিকিত্সক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার বিশ্বজিতকে গ্রেফতার করে কাঁকসা থানার পুলিস।