নেশামুক্তি কেন্দ্রে যুবকের মৃত্যু, উত্তেজনা বেলঘরিয়ায়
প্রথম ৪৫ দিন বছর তেইশের ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর পরিবারকে দেখা করতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছিল কর্তৃপক্ষের তরফে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : নেশামুক্তি কেন্দ্রে যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল বেলঘরিয়ার যতীন দাস নগরে। পুরুষ ও মহিলাদের নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভাঙচুর চালাল উত্তেজিত জনতা। এই ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিস। মৃতের নাম সুমন সর্দার।
গাঁজায় আসক্ত কেষ্টপুরের হাতিয়ারার বাসিন্দা সুমন সর্দারকে বেলঘরিয়ার যতীন দাস নগরের একটি নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করা হয় গত সপ্তাহে। প্রথম ৪৫ দিন বছর তেইশের ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর পরিবারকে দেখা করতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছিল কর্তৃপক্ষের তরফে। তবে ভিডিও কলে ছেলের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু, পরিবারের অভিযোগ ভিডিও কলেও সুমনের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার সকালে হঠাত্ ফোন করে পরিবারের লোকজনকে আসতে বলা হয়।
সেন্টারে এসে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, তাদের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। উত্তেজিত জনতা ওই নেশামুক্তি কেন্দ্র এবং পাশের মহিলাদের নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভাঙচুর চালায়। পরে বেলঘরিয়া থানার বিশাল পুলিস বাহিনী ও RAF ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ৩৫ জন আবাসিককে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, রাজ্যে এর আগেও নেশামুক্তি কেন্দ্রে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এমনকি রিহ্যাব সেন্টারগুলির কার্যকলাপ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
২০২১-র ২২ অক্টোবর জলপাইগুড়িতে রিহ্যাব সেন্টারে কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি হরিদেবপুরে রিহ্যাব সেন্টারে সামনের রাস্তা থেকে এক তরুণের দেহ উদ্ধার হয়। ২৫ জানুয়ারিতেই ময়নাগুড়িতে রিহ্যাব সেন্টারে ছাত্রের রহস্যমৃত্যু হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি মালদহের হরিশচন্দ্রপুরে নেশামুক্তি কেন্দ্রে এক যুবকের রহস্যমৃত্যু হয়। এরপর ১৪ এপ্রিল বীরভূমের বোলপুরে নেশামুক্তি কেন্দ্রে আদালতের কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন, Kalna: 'কালো বউ' পছন্দ নয়, পরকীয়া স্বামীর! বিয়ের বছর ঘুরতেই চরম মূল্য চোকাল যুবতী নববধূ
ATM Fraud: বয়স্করাই ছিল 'সফট' টার্গেট, শিলিগুড়ি ATM প্রতারণায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য