দেবব্রত ঘোষ: তান্ত্রিক হতে গিয়ে পুলিসের জালে। হরিয়ানার পানিপথ থেকে পালিয়েও শেষরক্ষা হল না। কালকা মেলের ওই যাত্রী যুবককে ধরে ফেলল হাওড়া জিআরপি। রেল পুলিস সূত্রে খবর, তান্ত্রিক হতে গেলে দীপাবলির রাতে কোনও শিশুকে বলি দিতে হবে। এমনই যুক্তি ওই যুবককে দিয়েছিল এক তান্ত্রিক। সেইমতো এক ৭ বছরের শিশু কন্যাকে অপহরণ করে শিবকুমার নামে অভিযুক্ত ওই যুবক। তারপর দীপাবলির রাতে সেই শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে বলি দেয় শিবকুমার। তার পর বুঝতে পারে কী করেছে সে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রাজ্য ও কেন্দ্র থেকে টাকা আসছে না, ‘অর্থকষ্টে’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়


শিশুটিকে বলি দেওয়ার পর কালকা মেলে বিনা টিকিটেই চড়ে বসে শিবকুমার। গন্তব্য কলকাতা। খুনের ঘটনার পর পর হরিয়ানা পুলিস শিবকুমারের খোঁজ করতে গিয়ে দেখে সে কলকাতা পালাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গেই হরিয়ানা থেকে খবর আসে হাওড়া জিআরপিতে। হাওড়া জিআরপি থানার ওসি সিদ্ধার্থ রায় সংবাদমাধ্যমে জানান, বৃহস্পতিবার  সকালে জিআরপির স্পেশাল সুপার সন্তোষ কুমার দ্বিবেদী জানান, পানিপথের এক যুবক এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুন করে হাওড়া পালিয়ে আসছে।  ওই খবর পাওয়া পরই বর্ধমান স্টেশন থেকে শিবকুমারের খোঁজ শুরু হয়। শেষপর্যন্ত দেখা যায় কালকা মেলের এস ৬ কামরায় সে রয়েছে। বিনা টিকিটেই ট্রেনে উঠেছিল সে। পরে জরিমানা দিয়ে টিকিট কনফার্ম করেছিল। চিহ্নিত হওয়ার পরই গ্রেফতার করা হয় শিবকুমারকে। এদিকে, শিবকুমারের খোঁজে হাওড়া আসছিল হরিয়ানা পুলিসের একটি দল। তাদের হাতেই শিবকুমারকে তুলে দেয় জিআরপি।


উল্লেখ্য, আজও এদেশে এই ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে। শিশু বলি দিলে তন্ত্র সাধনার সফল হওয়া যাবে এমন কথায় বিশ্বাসও করছে কেউ কেউ। গত বছর নভেম্বর প্রায় এরকমই একটি ঘটনা ঘটে উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদ সংলগ্ন পিপরি এলাকার। সংসারের আর্থিক অনটন দূর করতে নিজের ৪ বছরের শিশুকে খুন করে এক গৃহবধূ। পরে তাকে বাঁচিয়ে তুলতে খুন করেন নিজের স্বামীকে। তাকে ওই যুক্তি দিয়েছিল তার ভগ্নিপতি। তার কথামতো ৪ বছরের ছেলেকে খুন করা হয়। পরে স্বামীর অন্ত্র বের করে সাধনা করে ছেলেকে বাঁচানোর জন্য স্বামীকেও অজ্ঞান করে খুন করে ওই মহিলা। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)