স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক নেই, কলেজের সহপাঠীর সঙ্গে `পরকীয়া`, পরিণতি হল মর্মান্তিক
পদ্মাবতীর কাছে নিজের বিয়ের কথা গোপন করে যান ললিত। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুজনের মধ্যে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : পরকীয়া অপরাধ নয়। জানিয়েছে খোদ সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেই পরকীয়ার জন্যই খুন হয়ে গেলেন এক যুবক। বিবাহিত মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অভিযোগে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হল এক যুবককে। রেল লাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল যুবকের রক্তাক্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার গোয়ালাডিতে।
আরও পড়ুন, ঘরে নাতনি একা শুয়ে, রান্নাঘর পা দিয়েই ছেলে-বৌমাকে এঅবস্থায় দেখে হতভম্ব দাদু
মৃতের নাম ললিত মাহাত। পুরুলিয়ার কোটশিলার চয়াডি গ্রামে বাড়ি ললিতের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ললিত। গোয়ালডি গ্রামের বাসিন্দা অশ্বিনী গোপ। অভিযোগ, অশ্বিনী গোপের মেয়ে পদ্মাবতীর সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ললিতের। মাত্র ১২ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল পদ্মাবতীর। দুই সন্তানও হয়। কিন্তু তারপরই দাম্পত্য কলহ। সম্পর্কে চিড়। পদ্মাবতীকে বাপের বাড়িতে রেখে চলে যায় তাঁর স্বামী। বছর চারেক ধরে সেই থেকে বাপের বাড়িতেই আছেন পদ্মাবতী।
আরও পড়ুন, প্রথমে গলার নলি কেটে ছেলেকে খুন, তারপর আত্মহত্যা বাবার
এদিকে, কলেজে পড়ার সময়ই ললিতের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল পদ্মাবতীর। বাপের বাড়িতে ফিরে আসার পর ফের ললিতের সঙ্গে সম্পর্ক দানা বাঁধে পদ্মাবতীর। ইতিমধ্যে ললিতেরও বিয়ে হয়েছে। এক সন্তানও আছে। কিন্তু পদ্মাবতীর কাছে সেকথা গোপন করে যান ললিত। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুজনের মধ্যে।
আরও পড়ুন,'কুয়োর ভিতর ইট-বালি-সিমেন্ট দিয়ে চাপা দিয়েছি স্ত্রীর দেহ!'
তবে বিবাহিত মেয়ের পরপুরুষের সঙ্গে প্রেম মেনে নিতে পারেনি পদ্মাবতীর পরিবার। অভিযোগ, সেই রাগেই ললিতকে খুন করেন পদ্মাবতীর বাবা অশ্বিনী গোপ, দদা ইন্দ্রজিত গোপ ও খুড়তুতো ভাই কমল গোপ। ললিতের বাড়ির লোক জানিয়েছেন, ফোন করে ডেকে নিয়ে যায় ললিতকে। তারপরই নিখোঁজ হয়ে যান ললিত। পরে রেললাইনের ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ললিতকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।