নিজস্ব প্রতিবেদন- টুকরো টুকরো করে নৃশংসভাবে কেটে খুন। গুলি করে নয়, কুপিয়েও নয়। আক্রোশ এতটাই ছিল যে টুকরো টুকরো করে কেটে খুন করা হয় চুঁচুড়ার যুবক বিষ্ণু মালকে। দেহাংশের DNA পরীক্ষা হয়েছে। তবে এখনো খুন হওয়া সেই যুবকের কাটা মাথা খুঁজে পাচ্ছে না পুলিস। খুনের ধরণ দেখে আঁতকে উঠেছিলেন তদন্তকারীরা। নেপথ্যে যে ছিল ত্রিকোণ প্রেম তা তদন্ত গড়াতেই পরিষ্কার হয়ে আসে। চুঁচুড়ার এক তরণীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিল তোলাবাজি, খুন সহ একাধিক মামলায় অভিযুক্ত বিশাল দাস। বিষ্ণু মাল খুনে প্রধান অভিযুক্ত সে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিষ্ণু মালের কাটা মাথার খোঁজে হন্যে পুলিশ। দিল্লী রোডের পাশে কয়েকটি ডোবায় খোঁজ চলছে। গতকালই বিশাল দাসকে ১৪ দিনের রিমান্ড-এ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন চুঁচুড়া থানার তদন্তকারী অফিসাররা। বিশালের কথা মতো আজ বৈদ্যবাটিতে গিয়ে কাটা মাথার খোঁজ শুরু হয়। গত ১০ অক্টোবর বাড়ি থেকে বিষ্ণুকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করে দেহ টুকরো করে ফেলে দেয় বিশাল ও তার দলবল। দক্ষিণ ২৪ পরগণার জীবনতলা থেকে গ্রেফতার হয় ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিশাল দাস। বিষ্ণু খুনে মোট আট জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। দেহ, হাত, পা উদ্ধার হলেও কাটা মাথা উদ্ধার হয়নি এখনও।


আরও পড়ুন-  স্টাফ স্পেশালেই চোখে পড়ার মতো ভিড়! কাল থেকে কী হবে, চিন্তা বাড়াচ্ছে পরিস্থিতি


জেলে বসে প্রেমিকার সঙ্গে বিষ্ণু মাল নামের ওই যুবকের সম্পর্কের কথা জানতে পারে বিশাল। জামিনে ছাড়া পেয়েই এক সাগরেদের সাহায্যে বিষ্ণু মালকে অপহরণ করে সে। ফোনে ওই তরুণীর সঙ্গে কথা বলিয়ে বিষ্ণুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কনফার্ম করে বিশাল। যে বাড়িতে বিষ্ণুকে তুলে নিয়ে গিয়ে টুকরো টুকরো করা হয়েছিল, আর যেখানে দেহাংশ ফেলা হয়, দুই জায়গাতেই ধৃতদের নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছিল পুলিস।