নিজস্ব প্রতিবেদন: Zee ২৪ ঘণ্টার খবরের জের। খবর সম্প্রচারের এক ঘণ্টার মধ্যে লিলুয়ার হোমে হাজির বেলুড় থানার পুলিস। হোমটি পরিদর্শন করলেন রাজ্য় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, 'নির্যাতিতা নাবালিকা আগেও বাড়ি থেকে পালিয়েছিল। তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছিল এক যুবক। পরে ওই নাবালিকাকে হাওড়া স্টেশনে রেখে পালিয়ে যায় সে। নির্যাতিতা কাউন্সেলিং-র ব্যবস্থা করা হবে।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাড়ি থেকে পালিয়ে ঠাঁই মিলেছিল সরকার হোমে। হাওড়ার লিলুয়ার সেই সরকারি হোমে চরম নৃশংসতার শিকার হুগলির নাবালিকা। ২০ দিন পর হাতে সেফটিপিনের দগদগে ক্ষত নিয়ে বাড়ি ফিরেছে সে। দগদগে ক্ষতে লেখা সিনিয়রদের নাম! ঘড়িতে তখন ঠিক বিকেল ৪টে। এই খবর সম্প্রচারিত হয় Zee ২৪ ঘণ্টায়। এই ঘটনার দায় কার? আমাদের ক্যামেরায় সামনে গোটা ঘটনাটি কার্যত ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন হোম কর্তৃপক্ষ। সুপারের দাবি, 'কোনও অভিযোগ আসেনি। হোম ওই নাবালিকা ছিল কিনা, তা মনে করতে পারছি না'! যদিও নির্যাতিতা Zee ২৪ ঘণ্টাকে স্পষ্টই জানিয়েছে, 'হোমে সবাই সবার হাতে নাম লিখছিল। সিনিয়র দিদিরা বলল, তোর হাতেও নাম লিখতে হবে। আমি রাজি ছিলাম না। জোর করে হাতে নাম লিখে দিয়েছে।' 


আরও পড়ুন: 'হোমকে জানিয়েও লাভ হয়নি', লিলুয়াকাণ্ডে বিস্ফোরক নির্যাতিতা; মনেই পড়ছে না সুপারের


সময়ের ব্যবধান ঠিক এক ঘণ্টা। Zee ২৪ ঘণ্টায় খবরটি সম্প্রচারিত হওয়ার পর, বিকেল ৪টে ৫৬ মিনিটে লিলুয়ার ওই হোমে পৌঁছে যায় বেলুড় থানা পুলিস। এমনকী, সরকারি হোমে যান রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তীও। এদিকে এই ঘটনা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তদন্তের দাবি তুলেছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'সরকার পুরোপুরিভাবে এই ঘটনার সাক্ষী। রাজ্যের বিভিন্ন হোমে কতজন নাবালিকা রয়েছে, তাদের উপর বাইরে থেকে অত্যাচার হচ্ছে কিনা, তা সরকারের দেখা উচিত। সরকারের উপর থেকে আস্থা চলে গিয়েছে। রাজ্যের প্রতিটি হোমে তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।'