নিজস্ব প্রতিবেদন: কখনও ভেবেছেন গাছ থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব! এই অসম্ভবকে সম্ভবনার পথে এগিয়ে নিয়ে গেলেন এক ভারতীয়। ফলে ডাক পেলে NASA থেকেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বছর উনিশের এক তরুণ কলাগাছ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন গোটা বিশ্বকে। না কোনও সিনেমার দৃশ্য নয়, খাস বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা গোপালজি ঘটিয়েছে এমন অত্যাশ্চর্যক ঘটনা। সম্প্রতি কলাগাছ বা কলাপাতা থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে সেই বিদ্যুতে আলো জ্বালিয়ে দেখিয়েছেন তিনি। তার আবিস্কারের কথা দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়া মাত্র ডাক এসেছে নাসা থেকে।


বিহারের ভাগলপুরের এক প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষক পরিবারে বেড়ে ওঠা তাঁর। সমস্ত প্রতিবন্ধকতা হেরে গিয়েছে তার প্রতিভার কাছে। পড়াশুনার পাঠ চলে সরকারি স্কুলেই, তারপর একে একে প্রকাশ্যে এসেছে প্রতিভা। দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় প্রথম প্রকাশ পায় তাঁর এই বিশেষ স্বত্তা। জীবনের প্রথম আবিষ্কারটা ওই সময়ই করেন গোপালজি। সেই আবিস্কারের কারণ তাঁকে Inspire Award পুরষ্কারও পান। ব্যস তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। একে একে ডাক আসে নামী-দামি প্রতিষ্ঠান থেকে। কখনও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাকে ডাকে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য কখনও আবার জাপানের বিজ্ঞান মঞ্চের প্রদর্শনীতে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে যায় ভাগলপুরের এই যুবক।


বিহারের অসাধারণ প্রতিভায় চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়ার জোগার বাকিদের। গোপালের আবিস্কারের জন্য বিদেশ থেকে বিজ্ঞানীরা এসে দেখা করে গিয়েছেন তাঁর সঙ্গে। তার ঝুলিতে রয়েছে দুটি আবিস্কারের পেটেন্টও। কিন্তু এখানেই থেমে থাকবেন না গোপাল। আপাতত ব্যাচেলর অব টেকনোলজির এই ছাত্র পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের গবেষণাও চালিয়ে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতে পিএইচডি করার ইচ্ছে রয়েছে গোপালের। তবে যতই বিদেশ বিভূঁই থেকে ডাক আসুক না কেন, গোপাল স্বপ্ন দেখেন দেশের জন্য কিছু করার এবং তা দেশের মাটিতে থেকেই।


আরও পড়ুন: একই চার্জার দিয়েই চার্জ হবে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ!Xiaomi নিয়ে এল নতুন চার্জার


সালটা ২০১৭। স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী গোপালের প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলে আমেদাবাদে National Innovation Foundation-এ কাজ করার সুযোগ দেন। আপাতত দুবাইয়ের একটি কনফারেন্সে মুখ্য বক্তা হিসেবে যোগদান করতে চলেছেন গোপাল। এ ছাড়াও সিঙ্গাপুরেও আমন্ত্রণ রয়েছে তাঁর।