নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাভাইরাসে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আতঙ্কের পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়ছে একাধিক গুজব আর ভ্রান্ত ধারণা যা বিভ্রান্ত করছে লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষকে। আর এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়েই আপনার টাকা পয়সা, যাবতীয় জরুরি নথি-পত্র হাতিয়ে নেওয়ার জন্য জাল পেতেছে হ্যাকাররা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যেমন, আপনার মোবাইলে কেন্দ্রীয স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে পাঠানো একটা মেসেজ পেলেন যাতে লেখা রয়েছে, ‘করোনা-বিপর্যস্ত ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সবিস্তারে জানতে ক্লিক করুন নিচের লিঙ্কে।’ দেখলেন, মেসেজের নিচে একটা লিঙ্কও রয়েছে। ওই লিঙ্কে ক্লিক করলেই একটা পেয়ে যাবেন ডাউনলোড অপশন। এই ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করলে একটি এপিকে ফাইল আপনার ফোনে ডাউনলোড হয়ে যাবে। আর আপনার ফোনের সরাসরি ‘অ্যাক্সেস’ পেয়ে যাবেন হ্যাকাররা। এর মাধ্যমে সহজেই আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নিতে পারে সাইবার জালিয়াতরা। আপনার ফোনের কনট্যাক্ট ডিটেল থেকে আপনার পরিচিতদেরও নাগাল পেয়ে যাবে হ্যাকাররা।


পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একই ভাবে অন্য প্রলভন দেখিয়ে আপনার সর্বস্ব লুঠ করে নিতে পারে ব্যাঙ্ক জালিয়াতরা। আর এক ধরনের ফাঁদের উদাহরণ দেওয়া যাক। এখন BSNL, Jio-সহ একাধিক টেলিকম সংস্থা বাড়তি ইন্টারনেট ডেটার অফার নিয়ে হাজির হয়েছে। কারণ একটাই, ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ বা ‘হোম কোয়ারেন্টাইন’-এ থাকা মানুষদের যাতে কাজের বা যোগাযোগের কোনও সমস্যা না হয়। এই অফারের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতারনার ফাঁদ পেতেছে হ্যাকাররা। একই ভাবে অতিরিক্ত ডেটার অফারের মেসেজের মাধ্যমে আপনার ফোন হ্যাক করার চেষ্টা চালাবে সাইবার জালিয়াতরা। মেসেজের সঙ্গে থাকা লিঙ্কে ক্লিক করলেই সর্বনাশ!


আরও পড়ুন: রুখতে না পারলে ভারতে ভয়ঙ্কর মহামারির রূপ নেবে করোনা, আক্রান্ত হবেন কয়েক কোটি মানুষ!


হ্যাকারের হাত থেকে বর্তমানে কেউই তেমন নিরাপদ নয়। কোনও সেলিব্রিটির সোশ্যাল অ্যাকাউন্ট, বিভিন্ন সংস্থা, এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটও হ্যাক হওয়ার মতো ঘটনা এখন আখচার ঘটছে। আর আপনি যদি মোবাইল ব্যাঙ্কিং-এ বেশি স্বচ্ছন্দ হন এবং নিয়মিত ফোন থেকেই বিভিন্ন আর্থিক লেনদেন করে থাকেন, তাহলে আপনার বিপদ যে কোনও সময়েই হতে পারে।