অক্ষত রইল ইসরোর রেকর্ড, প্রথম চেষ্টায় মঙ্গলের কাছে যান পাঠাতে পারল না স্পেস এক্স
উৎক্ষেপণের পর কোনও বস্তুকে নির্দিষ্ট কক্ষে স্থাপন করতে গেলে যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয় তাতে ভুলচুক করে ফেলেছে স্পেস এক্স। ফলে টেসলা রোডস্টার গাড়িটি এখন ছুটে চলেছে গ্রহাণুর বলয়ের দিকে। ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন স্পেস এক্সের কর্ণধার এলন মাস্ক।
ওয়েব ডেস্ক: অক্ষত রইল ইসরোর রেকর্ড। প্রথম চেষ্টায় মঙ্গলের উদ্দেশ্যে 'যান' পাঠাতে পারল না মার্কিন বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা স্পেস এক্স। গত বুধবার রাতে বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী রকেট ফ্যালকন হেবি-র মাথায় চাপিয়ে একটি টেসলা রোডস্টার গাড়িকে মহাকাশে পাঠিয়েছিল স্পেস এক্স। লক্ষ্য ছিল, গাড়িটিকে মঙ্গলকে খুব কাছ দিয়ে অতিক্রম করে সূর্যকেন্দ্রিক কক্ষে স্থাপন করা। তবে সেই লক্ষ্যে ব্যর্থ হয়েছে তারা।
জানা গিয়েছে, উৎক্ষেপণের পর কোনও বস্তুকে নির্দিষ্ট কক্ষে স্থাপন করতে গেলে যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয় তাতে ভুলচুক করে ফেলেছে স্পেস এক্স। ফলে টেসলা রোডস্টার গাড়িটি এখন ছুটে চলেছে গ্রহাণুর বলয়ের দিকে। ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন স্পেস এক্সের কর্ণধার এলন মাস্ক।
আরও পড়ুন - পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে গ্রহাণু
গত বুধবার রাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের কেপ ক্যানাভেরাল থেকে ফ্যালকন হেভি লঞ্চ করে স্পেস এক্স। মঙ্গলে বসতি স্থাপনের জন্য জিনিসপত্র পাঠাতে তৈরি করা হয়েছে এই উচ্চ ক্ষমতাশালী রকেট। সেই রকেটের মাথায় চাপিয়ে একটি টেসলা রোডস্টার গাড়িকে মঙ্গলের কাছাকাছি পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল সংস্থাটির। কিন্তু উৎক্ষেপণের পর কোনও বস্তুকে নির্দিষ্ট কক্ষে স্থাপন করতে অরবিটাল বার্ন প্রক্রিয়ায় ভুল করে ফেলেছে তারা। এলন মাস্কের সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বার্নের তীব্রতা পরিকল্পিত মাত্রার থেকে বেশি ছিল। ফলে বৃহত্তর কক্ষে ঘুরতে শুরু করেছে টেসলা রোডস্টার গাড়িটি।
মঙ্গলে যান পাঠানো কিন্তু মুখের কথা নয়। ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরো ছাড়া অন্য কোনও দেশ প্রথম চেষ্টায় মঙ্গলের কক্ষে যান স্থাপন করতে পারেনি। স্পেস এক্সের মঙ্গলের কক্ষে যান স্থাপন করার কোনও পরিকল্পনা না থাকলেও অরবিটাল বার্ন-এ ভুল হওয়া মোটেও ভাল কথা নয়। কারণ মঙ্গলের কক্ষে যান স্থাপন করতে গেলে হাতের তালুর মতো জানতে হবে এই প্রযুক্তিকে।
লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও হতাশ নন এলন মাস্ক। তাঁর কথায়, এতে ভেঙে পড়ার কিছু নেই। আমরা বেশি শক্তিশালী রকেট বানিয়ে ফেলেছি। যে কোনও সময় তার ক্ষমতা আমরা কমাতে পারি। রকেটের শক্তি কম হলে ভাবনার ব্যাপার হত।
তবে টেসলা রোডস্টার গাড়িটির ভবিতব্য কী?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান কক্ষের অপসূর অবস্থান গ্রহাণু বলয়ের ওপারে। ফলে গ্রহাণু বলয় অতিক্রমের সময় কোনও গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ হতে পারে টেসলা রোডস্টারটির। সেক্ষেত্রে মহাকাশেই টুকরো টুকরো হয়ে যেতে পারে এই চার চাকা গাড়ি। এযাত্রায় অঘটন না ঘটলে ২০২০ সালে মঙ্গলের খুব কাছ দিয়ে উড়ে যাবে সেটি। ২০২১ সালে পৃথিবীর খুব কাছ থেকে উড়ে যেতে পারে এই গাড়ি।