স্বাধীনতা সংগ্রামী কমলাদেবীকে তাঁর জন্মদিনে মনে করালেন গুগল
এক দিকে দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়েছেন, পাশাপাশি এই `অভাগা দেশের` নারীদের স্বনির্ভর করে তুলতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েছন তিনি। নিজের জীবনকে যেমন ভেঙেচুরে স্বকীয়তায় বিমূর্ত করেছেন, সমাজকেও তেমনই দিশা দেখিয়েছেন সমাজ সংস্কারক এবং শিল্পী কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়। আজ তাঁর ১১৫তম জন্মদিনে অনবদ্য ডুডলে শ্রদ্ধা জানাল গুগল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এক দিকে দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়েছেন, পাশাপাশি এই 'অভাগা দেশের' নারীদের স্বনির্ভর করে তুলতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েছন তিনি। নিজের জীবনকে যেমন ভেঙেচুরে স্বকীয়তায় বিমূর্ত করেছেন, সমাজকেও তেমনই দিশা দেখিয়েছেন সমাজ সংস্কারক এবং শিল্পী কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়। আজ তাঁর ১১৫তম জন্মদিনে অনবদ্য ডুডলে শ্রদ্ধা জানাল গুগল।
আরও পড়ুন- মোবাইল উত্পাদনে দ্বিতীয় স্থানে ভারত
দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এই ভুলে যাওয়া মহীয়সীকে গুগল যেভাবে 'ডিজিটাল প্রজন্মের' কাছে তুলে ধরছে, তার প্রশংসায় মুখর ইতিহাসবিদরা। কন্নড় পরিবারে জন্ম কমলাদেবীর। বাবা আনন্নায়ে ধারেশ্বর ছিলেন ম্যাঙ্গালুরুর ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর। মা গিরিজাবাই ছিলেন শিক্ষিত, স্বাধীনচেতা মহিলা। তাঁর থেকেই উন্মুক্ত জীবনের শিক্ষা পেয়েছেন কমলাদেবী। ছোটোবেলা থেকেই তাঁর পরিবারে অবাধ আনাগোনা ছিল মহাদেব গোবিন্দ রানাডে, গোপাল কৃষ্ণ গোখলে, অ্যানি বেসান্ত, রামাবাই রানাডেদের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং খ্যাতনামাদের। ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হয় কমলাদেবীর। কিন্তু দু'বছরের মধ্যেই স্বামীকে হারান। তবে, পড়াশুনায় ছেদ পড়েনি তাঁর জীবনে।
আরও পড়ুন- দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর বায়ুমণ্ডলে বিলীন হল চিনা মহাকাশকেন্দ্র তিয়াংগং ১
চেন্নাইয়ের কুইন মেরি কলেজে পড়ার সময় কবি, নাট্যকার হরিন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাপ হয় কমলাদেবীর। হরিন্দ্রনাথ ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী সরোজিনী নায়ডুর ছোটো ভাই। পরবর্তীকালে সমাজের বাধা, প্রতিবন্ধকতা পার করে বিয়ে করেন তাঁরা। বিয়ের কিছু দিনের মধ্যে লন্ডন পাড়ি দেন কমলাদেবী। সেখানে বেডফোর্ড কলেজ ও ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে পড়াশুনা করেন তিনি।
এরপর ১৯২৩-এ মহাত্মা গান্ধীর আহ্বানে বিদেশ থেকে ফিরে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন কমলাদেবী। প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে পড়েন স্বাধীনতা আন্দোলনে। সে সময় নাটক, হস্তশিল্প, ভারতীয় পণ্য তৈরি সবকিছুর মধ্য দিয়ে মহিলাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে প্রচেষ্টা চালিয়ে যান কমলাদেবী। ১৯২৬ সালে তৈরি করেন অল-ইন্ডিয়া উমেনস কনফারেন্স।
আরও পড়ুন- গভীর প্রেমে যৌন মিলন কখনও ধর্ষণ নয় : বম্বে হাইকোর্ট
কমলাদেবী প্রথম মহিলা ছিলেন যিনি বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছেন। সামান্য ভোটে পরাজিত হলেও নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত তৈরি করেন কমলাদেবী। এমনকী ১৯৩০ সালে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে ঢুকে দেশীয় লবন বিক্রি করার অভিযোগে গ্রেফতার হন ব্রিটিশের হাতে। কমলাদেবীই ছিলেন প্রথম মহিলা যিনি ব্রিটিশদের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন।