লঞ্চ হল iPhone Xs, iPhone Xs Max ও iPhone Xr, দেখে নিন ফিচারস, স্পেসিফিকেশন ও দাম
iPhone Xs মিলবে ৯৯৯ মার্কিন ডলার থেকে। iPhone Xs Max মিলবে ১০৯৯ মার্কিন ডলার থেকে। ফোন দুটির ৬৪, ২৫৬ ও ৫১২ জিবি ভেরিয়্যান্ট লঞ্চ করেছে Apple. iPhone Xr মিলবে ৭৪৯ মার্কিন ডলার থেকে। এই ফোনটি মিলবে ৬৪, ১২৮ ও ২৫৬ জিবি ভেরিয়্যান্টে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সত্যি হল জল্পনা। একসঙ্গে ৩টি ফোনই লঞ্চ করল Apple. বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ার স্টিভ জোবস থিয়েটারে একে একে তিনটি ফোন প্রকাশ্যে আসে। নতুন আনফোন -এ রয়েছে আরও ফাস্ট প্রসেসর আরও উজ্জ্বল ছবি তোলার ক্ষমতা, দাবি অ্যাপেল -এর। তিনটি ফোনেই রয়েছে টপ নচ। আর সব থেকে বড় কথা, এই প্রথম iPhone-এ ব্যবহার করা যাবে ডুয়াল সিম।
এদিনের অনুষ্ঠানের প্রথমে লঞ্চ হয় Apple Watch 4। এর পর লঞ্চ হয় iPhone Xs ও iPhone Xs Max। iPhone Xs-এ থাকবে ৫.৮ ইঞ্চি রেটিনা ডিসপ্লে। iPhone Xs Max-এ থাকবে ৬.৫ ইঞ্চি রেটিনা ডিসপ্লে। দুটি ফোনেই রয়েছে টপ নচ ও থ্রিডি টাচ। iPhone Xs Max এখনো পর্যন্ত সব থেকে বড় ডিসপ্লে ওয়ালা iPhone.
iPhone-এ এবার A12 বায়োনিক চিপ ব্যবহার করেছে অ্যাপেল। যাতে ব্যাবহার হয়েছে ৭ ন্যানোমিটার টেকনোলজি। একটি চিপে মোট ৬৭০ কোটি ট্রাঞ্জিস্টার রয়েছে বলে জানিয়েছে Apple. রয়েছে ৬ কোর সিপিইউ। যার মধ্যে ২টি কোর হাই পারফর্মেন্স। সঙ্গে ৪ কোর জিপিইউ ব্যবহার করেছে অ্যাপেল। সংস্থার দাবি, নতুন চিপসেট আগের থেকে অনেক দ্রুত কাজ করবে। যার ফলে চমকে যাওয়ার মতো সব জিনিসপত্তর করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। গেমিং কনসোলের মতো গ্রাফিক্স এবার মিলবে আইফোনের পর্দাতেই।
iPhone Xs ও iPhone Xs Max-এ রয়েছে ডুয়াল রিয়ার ক্যামেরা সেট আপ। একটি টেলি ও একটি ওয়াইড ক্যামেরা ব্যবহার করেছে অ্যাপেল। দুটিই ১২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। এই ক্যামেরার মাধ্যমে দুর্ধর্ষ সব ছবি তোলা যাবে বলে দাবি তাদের। ছবি তোলার পর নিয়ন্ত্রণ করা যাবে ডেফথ অফ ফিল্ড। যা বিশ্বে প্রথম বলে দাবি অ্যাপেলের। সামনে রয়েছে ৭ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। সঙ্গে ফেস রেকগনিশনের যাবতীয় সরঞ্জাম।
ভিডিও রেকর্ডিংয়েও বিশেষ জোর দিয়েছে Apple. এবার iPhone-এ তোলা যাবে 4K স্টিরিও ভিডিও। এজন্য ফোনের চারদিকে থাকা চারটি মাইক্রোফোনকে কাজে লাগিয়েছে Apple. এছাড়া ফোনের স্পিকারের আওয়াজ আরও ব্যাপ্ত ও শ্রুতিমধুর হবে বলে জানিয়েছে তারা।
মেশিন লার্নিং ও আর্গুমেন্টেড রিয়্যালিটির জন্যও এই চিপ বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাপেল। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে চায় Apple।
iPhone Xs ও iPhone Xs Max-এর ফ্রেম তৈরি হয়েছে কলঙ্কহীন ইস্পাত দিয়ে। অ্যাপেলের দাবি, যথাসম্ভব পরিবেশবান্ধবভাবে তৈরি করা হয়েছে নতুন iPhone. উপাদানের পুনর্ব্যবহারে যোগ দিয়েছে তারা।
এছাড়া এই প্রথম iPhone-এ থাকছে ডুয়াল সিম। কিন্তু সিম স্লট থাকবে একটিই। অন্য নম্বরটি ব্যবহার করতে হবে eSIM-এর মাধ্যমে। এই প্রযুক্তিতে একটি QR কোড স্ক্যান করলেই ফোনে ইন্সটল হয়ে যাবে সিম। তবে চিনে eSIM ব্যাবহারের সুযোগ না-থাকায় ডুয়াল সিম স্লট-সহ iPhone Xs ও iPhone Xs Max মিলবে। ভারতে জিও, এয়ারটেল-সহ একাধিক সংস্থা eSIM প্রযুক্তির মাধ্যমে iPhone বিক্রি করবে বলে জানিয়েছে অ্যাপেল।
iPhone Xr-এ রয়েছে ৬.১ ইঞ্চি লিকুইড রেটিনা ডিসপ্লে। এই ফোনে একটিই রিয়ার ক্যামেরা ব্যবহার করেছে Apple. তবে তাতে ডুয়াল রিয়ার ক্যামেরার মতোই কাজ হবে বলে দাবি তাদের। এই ফোনে OLED ডিসপ্লের বদলে LCD ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে বেশ কিছুটা কমেছে দাম।
iPhone Xs মিলবে ৯৯৯ মার্কিন ডলার থেকে। iPhone Xs Max মিলবে ১০৯৯ মার্কিন ডলার থেকে। ফোন দুটির ৬৪, ২৫৬ ও ৫১২ জিবি ভেরিয়্যান্ট লঞ্চ করেছে Apple. iPhone Xr মিলবে ৭৪৯ মার্কিন ডলার থেকে। এই ফোনটি মিলবে ৬৪, ১২৮ ও ২৫৬ জিবি ভেরিয়্যান্টে।
নতুন ফোনের RAM ও ব্যাটারি ক্যাপাসিটি জানায়নি Apple. ভারতে iPhone Xs, iPhone Xs Max ও iPhone Xr লঞ্চ হবে ২৮ সেপ্টেম্বর।