`বাহুবলী` চড়ে সোমবার পাড়ি দিচ্ছে চন্দ্রযান ২
সোমবার রাত ২.৫১ নাগাদ চন্দ্রযান-২-কে নিয়ে পাড়ি দেবে বাহুবলী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৫ জুলাই শ্রীহরিকোটায় ভারতের সব থেকে শক্তিশালী রকেটে করে চাঁদে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-২ স্যাটেলাইট। জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভিহেকেল(GSLV) মার্ক থ্রি ওরফে 'বাহুবলী'-এর মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে চন্দ্রযান-২। ISRO-এর এক আধিকারিক জানান, শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস স্টেশনে জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি। সোমবার রাত ২.৫১ নাগাদ চন্দ্রযান-২-কে নিয়ে পাড়ি দেবে বাহুবলী। ১৬ মিনিট উড়ানের পর মহাকাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে যাবে বাহুবলী।
রকেটের নাম বাহুবলী কেন?
বিখ্যাত ছবি বাহুবলীর মহেন্দ্র বাহুবলী বিশাল পাথরের শিবলিঙ্গ কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। ভারি পাথরের শিবলিঙ্গ অবলীলায় নিয়ে গিয়ে রেখেছিলেন ঝর্ণার তলায়। জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভিহেকেল(GSLV) মার্ক থ্রি এই মূহুর্তে ভারতের সব থেকে শক্তিশালী রকেট। এই রকেটই চন্দ্রযান-২ কে পৌঁছে দেবে নির্দিষ্ট কক্ষপথে। তাই এমন অভিনব নাম এই রকেটের।
প্রায় ৬৪০ টনের রকেট বাহুবলী। ইসরোর বিজ্ঞানীমহলে এটি 'fat boy' নামেও পরিচিত। এখনও অবধি ১৩টি মহাকাশ অভিযানের জন্য এই রকেট ব্যবহৃত হয়েছে। লঞ্চ ভিয়েকেল-এ থাকছে একটি অর্বিটার, বিক্রম নামের একটি ল্যান্ডার এবং রোভার প্রজ্ঞান। সেপ্টেম্বরে পৌঁছনো যাবে চাঁদের বুকে। চন্দ্রযান-২-এর অভিযানে খরচ প্রায় ১,০০০ কোটি টাকা।
সম্পূ্র্ণ ভারতে বানানো চন্দ্রযান-২-এর ওজন ৩.৮ টন। অর্বিটারটি চন্দ্রপৃষ্ঠের ও চাঁদের খনিজের ছবি তুলবে ও ম্যাপিং করবে। ল্যান্ডার অংশের ওজন ১,৪৭১ কিলোগ্রাম। চাঁদের ভূমিকম্প ও চাঁদের তাপমাত্রা সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ করবে এটি। পাশাপাশি প্রজ্ঞান নামের ২৭ কিলোগ্রামের ছয় চাকার চলমান যানের মাধ্যমে চাঁদের মাটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। মূলত, চাঁদের দক্ষিণ প্রান্তে পর্যবেক্ষণ চালাবে প্রজ্ঞান। ১৪ দিন ধরে চাঁদের আধ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সফর করবে এই রোভার।
আরও পড়ুন - Google Maps ব্যবহার করে রেস্তোরাঁর বিলে পান ২৫% ছাড়, জেনে নিন কী ভাবে