HD 189733 b: বৃহস্পতির চেয়েও আকারে বহুগুণ বড় ভয়ংকর এই গ্রহের চারপাশে কেন সব সময় পচা ডিমের দুর্গন্ধ, জানেন?
Distant and Deadly Planet Smells Like Rotten Eggs: সৌরজগতের বাইরে থাকা দূরবর্তী গ্রহের মধ্যে বিশেষ এক বৈশিষ্ট্যের খোঁজ পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এইচডি ১৮৯৭৩৩ বি নামের ওই গ্রহটির বায়ুমণ্ডলে রয়েছে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস। কী ঘটছে তাতে?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সৌরজগতের বাইরে থাকা দূরবর্তী গ্রহের মধ্যে ভিন্ন এক বৈশিষ্ট্যের খোঁজ পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এইচডি ১৮৯৭৩৩ বি নামের একটি গ্রহের বায়ুমণ্ডলে রয়েছে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস। ফলে, গ্রহটির আবহাওয়া ভয়ানক এবং তা থেকে পচা ডিমের গন্ধের মতো বিশ্রী গন্ধ বেরয়। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের সংগ্রহ করা তথ্য পর্যালোচনা করেই এসব কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
জনস হপকিনসের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী গুয়াংওয়েই ফু বলেন, যদি আপনার নাক ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে, তবে সেখানের বায়ুমণ্ডলে পচা ডিমের গন্ধ পাবেন। তবে হাইড্রোজেন সালফাইড ওই গ্রহ জীবের আবাসস্থল হতে পারে এই ইঙ্গিত দিলেও তাপমাত্রা বেশি থাকায় বিজ্ঞানীরা গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব আশা করছেন না। আর ঠিক সে কারণেই হাইড্রোজেন সালফাইড থাকা একটি গ্রহ কীভাবে তৈরি হয়েছে, সেটি জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।
২০০৫ সালে প্রথম খোঁজ পাওয়া গেলেও বর্তমানে বিজ্ঞানীরা গ্রহটির বায়ুমণ্ডল সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন। হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস সমন্বিত বায়ুমণ্ডল থাকা গ্রহটির আকার ও ভর বৃহস্পতি গ্রহের চেয়ে ১.১৩ গুণ বড়। নিজের অক্ষে ২.২ দিনে আবর্তন করে এই গ্রহ। গবেষণাটি 'নেচার' জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
সম্প্রতি আরও এক গ্রহ নিয়ে খুব হইচই হচ্ছে। এলএইচএস-১১১৪০ বি (LHS 1140 b)। ২০১৭ সালেই গ্রহটির খোঁজ পেয়েছিল জেমস ওয়েব। প্রাথমিকভাবে গ্রহটিকে মোটেই বাসযোগ্য বলে মনে করেননি বিজ্ঞানীরা। কেননা, এই গ্রহে জল থাকলেও মিথেন এবং ঘন অ্যামোনিয়াও ছিল। এজন্য গ্রহটিকে আমাদের সৌরজগতের নেপচুনের মতো বলে মনে করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু 'দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্সে' প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক লেখায় বলা হয়েছে, আগে এই গ্রহে যতটা জল ও বরফ আছে বলে মনে করেছিলেন বিজ্ঞানীরা, তার থেকেও এখানে জল-বরফের পরিমাণ অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: Eyeball Planet: বিশাল আগুনের গোলার দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে একটি নীল চোখ! মহাকাশে কী ওটা?
আর তাতেই প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে এত কৌতূহলী হয়ে উঠেছেন তাঁরা। গ্রহটি যে নক্ষত্রকে পাক দিয়ে ঘোরে সেটি আমাদের সূর্যের মতো কমবয়সী নয়। সেটি অনেক ঠান্ডাও। যদি এটি সূর্যের মতো হত, তাহলে, এলএইচএস-১১১৪০বি-র সব বরফই গলে যেত, আর গ্রহটি মহাসাগরের জলে প্লাবিত হত। ফলে, বসবাসের অযোগ্য হয়ে যেত। তবে তা ঘটেনি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্রহটির বেশিরভাগ অংশ হিমায়িত হলেও, চোখের মণির মতো দেখতে সমুদ্র-অংশের আশপাশের এলাকার ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো হতে পারে। যা সামুদ্রিক জীব ও জীবনের বাসযোগ্য তাপমাত্রা বলেই আপাতত মনে করা হচ্ছে।