চাঁদের বুকে বিক্রমের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টায় ইসরোর পাশে নাসা
বিক্রমের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টায় ইসরোর পাশে দাঁড়াল নাসা। চন্দ্রপৃষ্ঠে থাকা বিক্রমকে সংকেত পাঠাল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বিক্রমের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টায় ইসরোর পাশে দাঁড়াল নাসা। চন্দ্রপৃষ্ঠে থাকা বিক্রমকে সংকেত পাঠাল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহাকাশ অভিযানের জন্য নাসার ডিপ স্পেস নেটওয়ার্কের সাহায্য নেয় ইসরো। ইসরোর ডিপ স্পেস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযোগ রাখা হয় যানের সঙ্গে। সেই ডিপ স্পেস নেটওয়ার্কের সাহায্যেই চন্দ্রযান-২-এর ল্যান্ডারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করছে নাসা।
নাসার জেট প্রপালশান ল্যাবরেটরি থেকে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে বিক্রমের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। নাসার এক আধিকারিকের সূত্রে খবর, ইসরোর সঙ্গে আগের চুক্তির ভিত্তিতেই বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করার চেষ্টা চালাচ্ছে নাসা।
গত ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদে অবতরণের কয়েক মূহুর্ত আগেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিক্রমের সংযোগ। তার পর থেকেই বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। ইসরো সূত্রে খবর, চলতি মাসের ২১ তারিখের মধ্যেই যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে বিক্রমের সঙ্গে। কারণ তত দিনই চাঁদের ওই অংশে দিন থাকবে। সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সৌরশক্তি ব্যবহার করেই কাজ করে বিক্রম। ফলে, অন্ধকার হয়ে গেলে আর যোগাযোগ স্থাপন করা যাবে না চন্দ্রযান-২-এর ল্যান্ডারের সঙ্গে। আর সেই কারণেই ক্রমাগত বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন ইসরো ও নাসার বিজ্ঞানী ও প্রযু্ক্তিবিদরা।
বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের প্রচেষ্টার কথা টুইট করেন মার্কিন জ্যোতির্বিদ স্কট টিলি। এর আগে ২০০৫ সালে নাসার একটি কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। সেই সময়ে সেই স্যাটেলাইটের সঙ্গে পুনরায় সংযোগ স্থাপনের কাজে যুক্ত ছিলেন স্কট। তিনি জানান, আপাতত ডিপ স্পেস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চন্দ্রযান-২-এর ল্যান্ডাক বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি সিগন্যালের রেকর্ডিংও টুইট করেন তিনি।
কেন চন্দ্রযান-২ অভিযানে আগ্রহী নাসা?
চন্দ্রযান-২-এর মাধ্যমেই বিজ্ঞানীদের হাতে পৌঁছে যাবে চাঁদের হাই রেজোলিউশন ছবি। তাছাড়া চাঁদের থ্রি-ডি ম্যাপিংও করা হবে। তাছাড়া চাঁদের বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ারও আশা করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। আগামী ২০২৪ সালেই আর্টেমিস প্রোগ্রামের মাধ্যমে চাঁদে নভোশ্চর পাঠাতে চলেছে নাসা। সেক্ষেত্রে চন্দ্রযান-২-এর মাধ্যমে ইসরোর হাতে আসা তথ্য নাসার প্রস্তুতিতে অনেকটাই সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : ইসরো প্রধানের সঙ্গে দেখা করে শুভেচ্ছা জানালেন ক্যালিফোর্নিয়ার বিজ্ঞানীরা