গ্রহ নয়, তবে বলুন তো এটা কীসের ছবি? কোনও পুরস্কার নেই কিন্তু
ওযেব ডেস্ক: সূর্যের পর এই প্রথম কোনও নক্ষত্রের স্পষ্ট ছবি তুলতে পারলেন মহাকাশ গবেষকরা। চিলেতে অবস্থিত ইউরোপিয়ান স্পেস অবজ়ারভেটরির টেলিস্কোপ দিয়ে জ্যেষ্ঠা বা অ্যান্টারেস নক্ষত্রের স্পষ্ট ছবি তুললেন তাঁরা। নভোবিজ্ঞানের ভাষায় সুপারজায়েন্ট এই নক্ষত্রের ছবি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে নেচার পত্রিকায়।
বৃশ্চিক রাশির সব থেকে উজ্বল নক্ষত্র জ্যেষ্ঠা। রাতের আকাশে লালাভ আভায় ঝলমল করে সে। সভ্যতার আদিকাল থেকেই মানুষের পরিচিত অত্যন্ত দৃশ্যমান এই তারা। আসলে একটি মৃতপ্রায় নক্ষত্রের ভর সূর্যের চেয়ে ১২ গুণ । পরিধি সূর্যের ৭০০ গুণ। যে কোনও সময় ধ্বংস হয়ে সুপারনোভায় পরিণত হতে পারে তারাটি। যদিও তা আমাদের জীবদ্দশায় দেখে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। কারণ তারাটির সূর্য থেকে দূরত্ব প্রায় ৫৫০ আলোকবর্ষ।
চিলের নর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশবিজ্ঞানী কেইচি ওনহাকার নেতৃত্বের গবেষকদের একটি দল ভেরি লার্জ টেলিস্কোপ ইন্টারফের্নোমিটার ব্যবহার করে তুলেছেন ছবিটি। এই পদ্ধতিতে চারটি টেলিস্কোপ সংযোগ করে তা থেকে একটি ছবি দেখতে পান গবেষকরা। যার ক্ষমতা ২০০ মিটার ব্যাসের টেলিস্কোপের সমান।
এর আগে সূর্য ছাড়া কোনও নক্ষত্রের এত স্পষ্ট ছবি তুলতে পারেননি গবেষকরা। গবেষকদের তোলা এই ছবি দেখে কল্পনাশক্তির প্রয়োগ করে ছবি এঁকেছেন শিল্পী।
বলে রাখি পৃথিবীর সব থেকে শুষ্ক অঞ্চল চিলের অ্যাতাকামা মরুভূমিতে রয়েছে বিশ্বের সব থেকে বড় টেলিস্কোপগুলি। টেলিস্কোপের সব থেকে বড় শত্রু জলীয় বাস্প। ফলে মূল্যবান টেলিস্কোপগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে এই পন্থা নিয়েছেন গোটা বিশ্বের ইঞ্জিনিয়ার ও মহাকাশ গবেষকরা।