নিজস্ব প্রতিবেদন: ইটালিতে মৃত্যুর সংখ্য়া ছাড়াল ১০ হাজার। মোট আক্রান্তের প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি মৃত্যুর সংখ্য়া। ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে লম্বার্ডি, ভেনেটো, ইমিলিয়া-রোমাগনা-সহ ১৮টি এলাকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লম্বার্ডির পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয়, যে চিনের হুয়ানের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। এই হুয়ান প্রদেশেই প্রথম করোনা সংক্রমণ লক্ষ্য করা যায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লম্বার্ডিতেই মৃত্যু হয়েছে ৫০ শতাংশ মানুষের। প্রশ্ন উঠছে, ইটালিতে কীভাবে করোনা সংক্রমণ প্রকট হয়ে উঠল? এর দায় যে সম্পূর্ণভাবে ইটালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ্পে কন্তের, মানছেন অধিকাংশ বিশেষজ্ঞরাই। তাঁদের অভিযোগ, চিন থেকে শিক্ষা নেওয়া তো দূর, হু-র বিশ্বমারী ঘোষণার পরও সে ভাবে কড়া পদেক্ষপ করতে দেখা যায়নি কন্তের সরকারকে।


২৬ মার্চ মৃত্য়ু হয়েছে ৭১২ জনের। ২৭ মার্চ ৯১৯ এবং ২৮ মার্চ ৮৮৯ জনের। বলা ভাল, ২০ মার্চ থেকে প্রতিদিন মৃত্যুর হার ৫০০-র উপরে থেকেছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য কয়েকটি কারণ উল্লেখ করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইটালির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেল্থ (আইএসএস)-র রিপোর্ট, মোট মৃত্য়ুর ৮৫.৭ শতাংশের বয়স ৭০-র উর্ধ্বে। উল্লেখ্য, জাপানের পর ইটালিতে সবচেয়ে বেশি সবচেয়ে বেশি বয়স্ক মানুষ রয়েছে। মোট জনসংখ্য়ার ২৩ শতাংশ মানুষের গড় বয়স ৬৫ বছর।


আরও পড়ুন- করোনা আতঙ্কেও পাক মসজিদে চলছে জমায়েত, হাঙ্গামার ভয়ে বন্ধ করতে ভয় পাচ্ছে সেনা


ইটালির স্বাস্থ্য় পরিষেবা ফ্রি হলেও করোনা মোকাবিলায় তেমন পরিকাঠামো গড়ে তোলার সম্ভব হয়নি। অভিযোগ উঠেছে করোনা পরীক্ষার পরিকাঠামো নিয়ে। একটি রিপোর্ট বলছে, ১৫ মার্চ পর্যন্ত ১লক্ষ ২৫ হাজার পরীক্ষা করা হয়েছে ইটালিতে। সেখানে ভয়াবহতা না থাকা সত্ত্বেও ৩ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষের পরীক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।


প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে, করোনা উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও সময় মতো পরীক্ষা করা হয়নি রোগীদের। বিশেষ করে বয়স্কদের পরীক্ষা না করায়, তাঁরা পরিবারের মধ্য় সংক্রমণ ছড়িয়েছেন বেশি। লম্বার্ডিতে সবচেয়ে শোচনীয় পরিস্থিতি তৈরি চিকিত্সক ও নার্সদের। এখনও পর্যন্ত যা রিপোর্ট ৩,৭০০ চিকিত্সক এবং নার্স করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের।