নিজস্ব প্রতিবেদন: ডান চোখের তলায় গভীর ক্ষত। সেখান থেকে গাল বেয়ে ঝরছে রক্ত। নাক ও মুখের অবস্থাও ভয়াবহ। জমাট বাঁধা রক্ত চারিদিক। চশমাটাও ঝাপসা হয়ে গিয়েছে। ৯১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা ক্যালিফোর্নিয়ায় এসে এ ভাবেই নিগৃহীত হলেন উন্মত্ত জনতার হাতে। তাঁর অপরাধ, মেক্সিকো  পেরিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন তিনি। যদিও তিনি এসেছিলেন তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। পার্কে ঘুরতে গিয়ে নির্মমভাবে মারা হবে, তা ঘুণাক্ষরে বুঝতে পারেননি বৃদ্ধ রোডোল্ফো রড্রিগজ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- বিমানবন্দর বিক্রি করতে চাইছে শ্রীলঙ্কা, ভারত কিনলে লাভ কী?


গত ৪ জুলাই ঘটনাটি ঘটে। রড্রিগজ জানিয়ছেন, পার্কে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন তিনি। পাশ দিয়ে হেঁটে যান এক মহিলা ও তার মেয়ে। কিন্তু হঠাত ওই মহিলা বৃদ্ধের উপর চড়াও হন। কেন মহিলা মারতে উদ্যত হলেন, তা জানেন না বলে দাবি করেছেন রড্রিগজ। ওই মহিলা ইট তুলে তাঁর মুখে নির্মমভাবে আঘাত করতে থাকে। রড্রিগজ জানান, বেশ কিছু লোককে জোড়োও করে ফেলেন ওই মহিলা। মিসবেল বোরজাস নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী মহিলা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত মহিলার মুখ থেকে বারবার শোনা যাচ্ছিল, “নিজের দেশে ফিরে যাও। মেক্সিকো থেকে এখানে কেন এসেছো।”  মিসবেল মোবাইলে এই ছবি তুলতে গেলে তাঁকেও ইট তুলে মারার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।


আরও পড়ুন- উদ্ধার হল আরও ৪, গুহায় এখনও আটকে ৪ ফুটবলার-সহ কোচ


লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্ট শেরিফ দফতর জানিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলা এবং আরও চারজনের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস। হঠাত্ কী কারণে রড্রিগজকে মারা হল তা-ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বছরে দু’বার ক্যালিফোর্নিয়া তাঁর নাতির কাছে  ঘুরতে আসেন রড্রিগজ। কিন্তু তাঁর জীবনে এভাবে কোনওদিন  অপমানিত হননি বলে আক্ষেপের সুরে জানান বৃদ্ধ।


আরও পড়ুন- চিনা উপগ্রহের দ্বারা পাক নজরদারীর আশঙ্কায় ভারত


প্রসঙ্গত, ট্রাম্প জমনায় মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে শরণার্থী প্রবেশে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করে বিপাকে পড়েছে সরকার। শরণার্থী পরিবারের কাছে থেকে শিশুদের বিচ্ছন্ন করায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট চরম বিতর্কে মুখে পড়েন। ক্যালিফোর্নিয়ার ঘটনায় ফের ট্রাম্প প্রশাসনের অসহিষ্ণুতাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বলে মন করছে ওয়াকিবহাল মহল।