নিজস্ব প্রতিবেদন: বিরোধীদলগুলি ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ইমরানের ওপর। আজ, রবিবার পেশোয়ারে ইমারানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ক্রিকেটজীবনে তিনি অলরাউন্ড ছিলেন। তাঁকে সমীহ করতেন বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়েরা। কিন্তু রাজনৈতিক জীবনে প্রথম পর্বের কথা বাদ দিলে ইমরানের পিচ বরাবরই কঠিন থেকেছে। এখন যেমন তা আরও বেশি বাউন্সি হয়ে উঠছে।


দেশটির বিরোধী দলগুলি ইমরান খানের বিরুদ্ধে টানা বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের অভিযোগ, ভোটে কারচুপি ও সেনাবাহিনীকে সমর্থন দেওয়ার কারণেই ২০১৮ সালের নির্বাচনে ইমরান খান ক্ষমতায় এসেছেন। আজ কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী পেশোয়ারে বিক্ষোভ করেন। করোনা-সংক্রমণ রোধে জমায়েতের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এই বিক্ষোভ হয়।


ইমরান অবশ্য বলেছেন, বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির মামলা তুলে নিতে বাধ্য করতেই এই বিক্ষোভ। পাকিস্তানের রাজনীতিতে পাকসেনাবাহিনীর কোনও রকম হস্তক্ষেপের কথাও অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন পার্টি ও পূর্বতন প্রেসিডেন্ট আসিফ জারদারির দলের দুর্নীতিতে বিরক্ত হয়ে সাধারণ মানুষ তাঁকে ভোট দিয়েছেন।


১৬ অক্টোবর থেকে 'দ্য পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট' (পিডিএম) একের পর এক বিক্ষোভ করছে সেদেশে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব, সিন্ধু ও বেলুচিস্তান প্রদেশেই বেশির ভাগ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে প্রথমবারের মতো সমাবেশ করল পিডিএম।


পিডিএম পাকিস্তানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের রাজনীতিতে ফিরে আসার মধ্য দিয়ে এই আন্দোলন নতুন মাত্রা পেয়েছে।


আরও পড়ুন:  একবার ব্যবহার করেই ছুঁড়ে ফেলে দিলাম, এই মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে: জার্মানি