নিজস্ব প্রতিবেদন- করোনা। লকডাউন। তার উপর মুদ্রস্ফীতি। পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের নভিশ্বাস উঠছে। রোজই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অত্যাবশক জিনিসপত্রের দাম। পরিস্থিতি এমনই যে, পাকিস্তানের কিছু জায়গায় মুরগীর ডিম ৩০ টাকা প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে। পাকিস্তানে জিনিসপত্রের দম গত কয়েক বছর ধরেই উর্ধ্বমুখী। তা নিয়ে সরকারের হেলদোল ছিল না। সাধারণ মানুষ কী খাবে, তা নিয়ে ইমরান খানের সরকারের চিন্তা নেই। এই ব্যাপারে বিরোধীরা সরকারের তুলোধনা করেছিল। কিন্তু তার পরও ইমরান খানের সরকার আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত ছিল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এর আগে পাকিস্তানে আটার দাম আকাশ ছুঁয়েছিল। পাকিস্তানের কিছু জায়গায় আটার দাম ১২০-১৬০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হয়েছিল। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টমেটো, আদার দামও বেড়েছিল বারবার। ফলে সাধারণ মানুষ পেট ভরে খাবারই যেন খেতে পারছিল না। এর মধ্যে রান্নার গ্যাসের সংকটও জুড়েছিল। পাকিস্তানে এখন আদা হাজার টাকা কেজি। মুরগীর মাংস তিনশো টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে। ১০৫ টাকা এক কেজি চিনির দাম। ফলে ইমরানের সরকারের উপর ক্রমে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। ইমরানের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে। কোনওবারই বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি সরকার।


আরও পড়ুন-  করোনা নিয়ন্ত্রণে ভুটানে ৭ দিনের জন্য লকডাউন, তবে বন্ধ হচ্ছে না অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবা


পাকিস্তানের প্রতিটি প্রদেশের অর্থনীতি সঙ্কটে। জানাচ্ছে সম্প্রতি একটি সমীক্ষার রিপোর্ট। এমনকী, দেশ সঠিক পথে চলছে না বলে মনে করছেন পাকিস্তানের ৭০ শতাংশ মানুষ। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের ৩০ শতাংশ মানুষ ইমরান খানের সরকারের আমলে দারিদ্রসীমার নিচে চলে গিয়েছে বলেও সেই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে। এদিকে, ক্ষমতা দখলের আড়াই বছর পর ইমরান খানের ঘুম ভেঙেছে। তিনি এতদিনে মন্ত্রীদের বৈঠকে ডেকে বলেছেন, এবার সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে দেখাতে হবে। পারফরমার্স এমিগ্রেটস অফ দ্য ফেডেরাল গভর্নমেন্ট ফর দ্য ইয়ার ২০২০-২১- কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন ইমরান খান। আর তাই ইসলামাবাদে বৈঠক করে মন্ত্রীদের বলেছেন, এবার সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। প্রতিটি মন্ত্রকের দিকে তিনি নিজে নজর রাখবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।