নিজস্ব প্রতিবেদন: ফিরে আসুন! আশরফ গনির কানে এখন এই সুরই হয়তো বাজছে। নিজের দেশ ছেড়ে থাকতে কেই-বা ভালোবাসেন। আশরফও ফিরতে চাইছেন বলেই জানা যাচ্ছে, পাশাপাশি তালিবানও মনে করছে পূর্বতন প্রেসিডেন্টের দেশে ফেরাই উচিত। দেশ ছেড়ে গিয়ে তিনি ভুলই করেছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তালিবান-অধিকৃত আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে পালিয়েছিলেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি। তিনি বিভিন্ন দেশে ঠাঁই পাওয়ার প্রত্যাশায় ঘুরছিলেন বলে শোনা গিয়েছিল। পরে জানা গিয়েছিল-- মানবিকতার খাতিরে তাঁকে আশ্রয় দেয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। কিন্তু এখন আবার শোনা যাচ্ছে, নিজের দেশেই ফিরতে চাইছেন আশরফ। অন্তত এমনই জানিয়েছেন আশরফের ভাই হাসমত গনি।


আরও পড়ুন: Afghanistan Crisis: ভারতের মোকাবিলা করতেই তালিবানের জন্ম দেয় পাকিস্তান! দাবি আফগান মন্ত্রীর


আফগানিস্তানের এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, শীঘ্রই অন্তর্বর্তী সরকার গড়তে চলেছে তালিবান। অর্থাৎ, বোঝা যাচ্ছে এই আবহে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতেই তালিবান তাকাচ্ছে চারপাশে। আর এর প্রথম দৃষ্টান্ত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ গনিকে ক্ষমা করে দেওয়া। শুধু তাই নয়, আশরফ  আফগানিস্তানে ফিরে আসতে পারেন বলেও জানিয়েছে তালিবান। গনির ভাইও জানিয়েছেন, গা ঢাকা দিয়ে থাকতে চান না স্বয়ং আশরফও। দেশে ফিরতে চান তিনি। 


২০১৪ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট আশরফ। ১৫ অগাস্ট তালিবান কাবুলে প্রবেশ করতেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। তাঁর প্রতি অভিযোগ ছিল তিনি নাকি টাকা ও অন্যান্য দামি জিনিসপত্র নিয়ে পরিবার-সহ আফগানিস্তান ছেড়েছেন। তবে কয়েকদিন বাদেই এক ভিডিয়ো বার্তায় গনি বলেন, টাকা নিয়ে আসা তো দূরের কথা, চটি ছেড়ে বুট জুতো পরার সুযোগটুকুও তিনি পাননি। শুধু তাই নয়, তিনি জানান, ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হত তাঁকে। তাই দেশ ছেড়ে পালিয়ে এসেছেন তিনি।


অন্য দিকে জানা গিয়েছে হাক্কানি গোষ্ঠী সম্প্রতি সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছে। আশরফ গনি, আমরুল্লাহ সালেহ প্রমুখের সঙ্গে তাদের কোনও শত্রুতা নেই। এদিকে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরই (peaceful transfer of power) তালিবানের (Taliban) লক্ষ্য। সকলকে ক্ষমা করে দেওয়ার এই পরিস্থিতিতে আশরফের তাই কাবুলে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)


আরও পড়ুন: Kabul Blast: কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বড়সড় বিস্ফোরণ, ISIS-K জঙ্গিদের রকেট হামলা!