নিজস্ব প্রতিবেদন: লকাডাউন শিথিল হওয়ার পর চিন্তা ছিল করোনা আক্রান্ত উপসর্গহীন ব্যক্তিদের নিয়ে। তাঁরাই সবথেকে বেশি সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলছে উল্টো কথা। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে হু-র ইমার্জিং ডিজিজ বিভাগের প্রধান মারিয়া ভন কেরখভ বলেন, “পরিসংখ্যান বলছে যাঁরা করোনা পজেটিভ কিন্তু উপসর্গ নেই এ ধরনের অ্যাসিম্পটমেটিক ব্যক্তিদের মাধ্যম দিয়ে সংক্রমণ ছড়ায় না। আর যদি ছড়ায় তা বিরল ঘটনা।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তবে, মারিয়া ভন জোর দিয়ে এ কথা বললেও, তাঁর মতে, কয়েকটি দেশের পরিসংখ্যান ও তথ্য থেকে এমন ধারণা করা হচ্ছে। সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। প্রয়োজন এ বিষয়ে আরও গবেষণা। হু-র এই তত্ত্ব ধরে চললে কিন্তু লকডাউনের বিধি নিষেধ পাল্টে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মারিয়া জানিয়েছেন, এখন প্রয়োজন উপসর্গ আছে এমন করোনা পজেটিভ ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইসোলেশনে রাখা। শুধু মাত্র উপসর্গ আছে এমন ব্যক্তিরাই সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম।


গত এক মাসে ভারতে কয়েক লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে পাড়ি দিয়েছে। তাঁদের অনেক ক্ষেত্রে করোনা পজেটিভ মিলেছে। অ্যাসিম্পটমেটিক রোগীও কম নয়। সংক্রমণের আশঙ্কায় কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। হু-এর কথা অনুযায়ী, অ্যাসিম্পটমেটিক রোগী বাদ দিয়ে শুধুমাত্র উপসর্গ রয়েছে এমন করোনা পজেটিভ ব্যক্তিদের উপযুক্ত চিকিত্সা ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে এক ধাক্কায় সংক্রমণ ছড়ানোর হার কমে যাবে। ভারতের মতো বিপুল জনসংখ্যার দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এই তত্ত্ব কিছুটা আশার বাণী বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


আরও পড়ুন- বেড নেই, ভেন্টিলেটর নেই, করোনা থাবায় 'সঙ্কটজনক' পাকিস্তান


অ্যাসিম্পটমেটিক কী?


করোনা পজেটিভ কিন্তু করোনার কোনও উপসর্গের লক্ষণ নেই শরীরে। রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা আছে এমন ব্যক্তিরা সাধারণ অ্যাসিম্পটমেটিক হয়ে থাকেন।