জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শক্তিশালী বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তানের পেশওয়ারের এক মসজিদ। বিশাল ওই বিস্ফোরণে ভেঙে পড়ল মসজিদের ছাদ। এখনওপর্য়ন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ওই বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন ২৮ জন। আহত ১৫০। কারা ওই বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-দেশের জার্সিতে আর না! বোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকেই কি চরম সিদ্ধান্ত?


পেশওয়ারের কমিশনার রিয়াজ মাসুদ বিস্ফোরণে মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আহতদের উপযুক্ত চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শহরে জারি হয়েছে ইমার্জেন্সি। এদিকে, শহরের লেডি রিডিং হাসপাতালের মুখপাত্র মহম্মদ আসিম সংবাদমাধ্যমে বলেন, আহতদের অধিকাংশের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 


বিস্ফোরণ নিয়ে পেশোয়ারের পুলিস আধিকারিক আইজাজ খান সংবাদমাধ্য়মে বলেন, বিস্ফোরণে মসদিজের ছাদটি ভেঙে পড়ে। সেই ধ্বংসস্তূপে চাপা পয়ে রয়েছেন বেশ কয়েকজন জওয়ান। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। মসজিদের মূল যে হল সেটিতে কমপক্ষে ৩০০ জন নামাজ পড়তে পারেন। সেই জায়গার ছাদ ভেঙে পড়েছে। বিস্ফোরণের সময় ৩০০-৪০০ জন পুলিস কর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তার মধ্যেই ওই বিস্ফোরণ। তাই এই ঘটনার সঙ্গে বড়সড় নিরাপত্তায় গলতি রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।


পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার দুপুর ১টা ৪০ নাগাদ জোহরের নামাজের সময় বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ওই মসজিদ। সেইসময় মসজিদে ছিলেন বহু পুলিস কর্মী, বোম্ব ডিস্পোজাল স্কোয়াডের লোকজন। কোনও কোনও মহল থেকে এমনও বলা হচ্ছে, ওইসব পুলিস কর্মীদের টার্গেট করতেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে পেশওয়ার পুলিসের দাবি কোনও শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটানো হয়নি। তবে কোন ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বিস্ফোরণের পর এলাকার গভর্নর হাউস, মুখ্যমন্ত্রীর সেক্রেটারিয়েট, পুলিসের হেডকোয়ার্টারের দিকে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে আগে থেকেই মসজিদে বিস্ফোরক রেখে দেওয়া হয়েছিল নাকি এটি কোনও আত্মঘাতী বিস্ফোরণ, তা এখনও স্পষ্ট নয়।


বিস্ফোরণের পর পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই হামলার সঙ্গে ইসলামের কোনও সংযোগ নেই। এটা একমাত্র সন্ত্রাসবাদীদের কাজ। পাকিস্তানকে বাঁচানোর জন্য যারা লড়াই করছে চলেছে তাদেরই টার্গেট করেছে জঙ্গিরা। যারা ওই বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন তাদের পাশে সরকার রয়েছে। খাইবার পাকতুনখাওয়ার আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে নতুন করে ভাবছে সরকার। অন্যদিকে, এনিয়ে পাক বিদেশ মন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেন, ভোটের আগে এই বিস্ফোরণ যথেষ্টই ইঙ্গিতবহ।


ঘটনার নিন্দা করেছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও। একটি টুইট করে ইমরান লিখেছেন, পুলিসলাইন মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনারল নিন্দা করছি। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সামবেদনা রইল। আমাদের গোয়েন্দাদের আরও যোগ্য ও পুলিসকে শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। 


দেশের প্রাক্তন মানবাধিকার মন্ত্রী শিরিন মাজারি সংবাদমাধ্যমে বলেন, শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা জঙ্গিদের নাগালে চলে এসেছে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পুলিসই ফ্রন্টলাইন বেরিয়ার। তাদের আরও শক্তিশালী করে তুলতে হবে। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)