নিজস্ব প্রতিবেদন- সারা বিশ্ব জুড়ে আতঙ্কের অপর নাম নোভেল করোনাভাইরাস। ইতিমধ্যেই সারা বিশ্বের ১ লক্ষ মানুষের প্রাণ গেছে নোভেল করোনার প্রকোপে। আমেরিকাতেই শুধু ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু মিছিল চালিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। সেই ২০ হাজার মানুষের মধ্যে রয়েছেন আমেরিকায় বসবাসকারী ৪০ জন ভারতীয়। আমেরিকাতে করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে আরও ১৫০০ ভারতীয়র।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইতালি, ফ্রান্সের পরে নোভেল করোনার কেন্দ্রবিন্দু এখন আমেরিকা। সে দেশে গত ২৪ ঘন্টায় একদিনে সর্বোচ্চ ২ হাজার জনের প্রাণ গেছে করোনার শিকারে। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী ইষ্টারের পূণ্যলগ্নে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ছাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। আমেরিকায় সবথেকে বেশি প্রবাসী ভারতীয় বসবাস করেন নিউ ইয়র্কে। আর আমেরিকায় সবথেকে বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত সেই নিউ ইয়র্কেই।


আমেরিকায় যে ৪০ জন প্রবাসী ভারতীয় করোনায় মারা গেছেন, তাঁর মধ্যে অস্বাভাবিক ভাবেই রয়েছে একজন ২১ বছরের যুবক। বাকিরা ৬০ এর আশেপাশে। ৪০ জন ভারতীয়র মধ্যে ১৭ জনের আদি বাসস্থান কেরল, ১০ জনের গুজরাট। এছাড়াও রয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের ২ জন এবং ওড়িশার ১ জন। আমেরিকায় নিউ ইয়র্ক এবং নিউ জার্সিতেই সবচেয়ে বেশি বাস  ভারতীয়দের। স্বভাবতই "লিটিল ইন্ডিয়া" নিউ ইয়র্ক থেকেই মৃত্যু হয়েছে ১৫ জন ভারতীয়র।


আরও পড়ুন- লকডাউন মানা না হলে ১৫ এপ্রিলের মধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াত ৮ লক্ষ, দাবি কেন্দ্রের


ফ্লোরিডা ও ক্যালিফোর্নিয়াতেও করোনার দরুন ভারতীয় মৃতের খবর মিলেছে। আমেরিকাবাসী ভবেশ দেব ওক ট্রি রোডের রিয়েল এস্টেট ব্যাবসায়ী। তিনি বলছেন, "অতীতে কখনও এরকম খারাপ অভিজ্ঞতা হয়নি।"করোনার জেরে বিষাদের সুর আরেক প্রবাসী ভারতীয়র ঘরে। করোনা কেড়ে নিয়েছে সুনোভা অ্যানালিটিক্যালের সিইও হনমন্থ রাওর স্ত্রীকে। ২ মেয়ে নিয়ে আগের লড়াই একাই লড়তে হবে এই বাবাকে।


বছর ৭৫ এর চন্দ্রকান্ত, নিউ জার্সিতে বসবাসরত সব ভারতীয় এক ডাকেই চিনত তাকে। করোনার জেরে আর এ বিশ্বে নেই চন্দ্রকান্ত। বিপাকে পড়া আমেরিকাবাসী ভারতীয়দের খাবার জোগাচ্ছে  আমেরিকার ওয়ার্ল্ড হিন্দু কাউন্সিল। কিন্তু এভাবে আর কত দিন! আমেরিকাবাসী নেলিয়া পান্ডের কথা অনুযায়ী হাসপাতালে যথেষ্ট বিছানা নেই। যদিও সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছেন অনেকেই। "রাজভোগ সুইটস"-এর  অজিত, সচীন ও সঞ্জয় মোদী জার্সি সিটি ম্যাটিকেল সেন্টারে বিনা পয়সায় খাবার জোগান দিচ্ছেন। কিন্তু সদগতি হচ্ছে কোথায়! প্রবাসে ফাপরে পড়েছেন তাঁরা। এমন দিন যে দেখতে হবে ভাবেননি কখনও।