লকডাউন মানা না হলে ১৫ এপ্রিলের মধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াত ৮ লক্ষ, দাবি কেন্দ্রের
কেন্দ্র বলছে, প্রথমেই যদি লকডাউন ঘোষণা করা না হত, তাহলে এই ১৫ তারিখের মধ্যেই দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছা়ড়িয়ে যেত ৮ লক্ষ। সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা স্বাভাবিকভাবেই আরও জটিল হয়ে যেত।
![লকডাউন মানা না হলে ১৫ এপ্রিলের মধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াত ৮ লক্ষ, দাবি কেন্দ্রের লকডাউন মানা না হলে ১৫ এপ্রিলের মধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াত ৮ লক্ষ, দাবি কেন্দ্রের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/04/12/243780-corona.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: লকডাউন না হলে জীবনযাপনে কড়াকড়ি না হলে, ১৫ এপ্রিলের মধ্যেই দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে যেত ৮ লক্ষ। এমনটাই দাবি কেন্দ্রের।
করোনা মোকাবিলায় কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছিল চ্যালেঞ্জ। রাজ্যগুলিকে সঙ্গে নিয়ে জোটবদ্ধ হয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুর সংখ্যাও ছাড়িয়েছে ২৭৩। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে বাঁচাতে লকডাউন অর্থাত্ ঘরবন্দিদশাই একমাত্র উপায়। কেন্দ্র বলছে, প্রথমেই যদি লকডাউন ঘোষণা করা না হত, তাহলে এই ১৫ তারিখের মধ্যেই দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছা়ড়িয়ে যেত ৮ লক্ষ। সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা স্বাভাবিকভাবেই আরও জটিল হয়ে যেত।
মাস্ক না পেলে গামছা বা তোয়ালে বাঁধুন, সতর্ক থাকুন: মোদী
শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল জানিয়েছেন, শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০৩৫।
এই প্রথম ভারতে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। রবিবার সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩৬৭ , সুস্থ হয়েছেন ৭১৫ জন।
কেন্দ্রের দাবি, লকডাউন না হলে এই সংখ্যা আরও লাফিয়ে বাড়ত। করোনা মোকাবিলায় লকডাউন একান্ত জরুরি পদক্ষেপ। সেক্ষেত্রে কেবলমাত্র জীবনযাপনে কড়াকড়ি করলেও পরিস্থিতি নাগালের মধ্যে থাকত না। সেক্ষেত্রে করোনা সংক্রামিত হত ১.২ লক্ষ মানুষ।
উল্লেখ্য, শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও লকডাউনের পক্ষে সওয়াল করেন। সকলের সহমতে লকডাউনের মেয়াদ আরও ২ সপ্তাহ বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।