ওয়েব ডেস্ক: পাক জঙ্গিদের টার্গেট এবার হাসপাতালও। বিস্ফোরণ, তারপর এলোপাথাড়ি গুলি। পাকিস্তানের কোয়েটার সিভিক হাসপাতালে হামলায় কমপক্ষে ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত শতাধিক। টার্গেট কিলিং নাকি বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের শিক্ষা দিতে হামলা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কখনও টার্গেট পোলিও সেন্টার,  কখনও সেনার চেকপোস্ট। কোথাও নাশকতার পিছনে জঙ্গি সংগঠন, কোথাও দায়ী বালুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। অশান্ত বালুচিস্তান বরাবরই পাকিস্তানের মাথাব্যাথার কারণ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন বুর্জ খলিফাকে ছাপিয়ে আরও দ্বিগুণ উঁচু হচ্ছে জাপানের বাড়ি!


সকালে আদালতে যাওয়ার পথে আক্রান্ত হন বালুচিস্তান বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বিলাল আনওয়ার কাসি। দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কোয়েটার সিভিল হাসপাতালে। কিন্তু হিংসার থাবা থেকে রেহাই পায়নি হাসপাতালও। রক্তাক্ত বিলালকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তাঁর সহকর্মীরা। কোয়েটার সিভিক হাসপাতালে তখন আইনজীবী, পুলিস এবং সাংবাদিকদের ভিড়। আচমকা বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে হাসপাতাল। সেই ধাক্কা সামলানোর আগেই শুরু হয় গুলিবৃষ্টি।


ব্যস্ত হাসপাতালের ছবিটা মূহুর্তে বদলে যায়। বাতাসে বারুদের গন্ধ। চারপাশে হাহাকার,  ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিন্নভিন্ন রক্তাক্ত দেহ। বিস্ফোরণ এবং গুলিতে ঝাঁঝরা হাসপাতাল। মৃত এবং আহতদের অধিকাংশই আইনজীবী। হতাহতের তালিকায় রয়েছেন কয়েকজন পুলিসকর্মী এবং সাংবাদিকও। আহতদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।


আরও পড়ুন এই প্রথম দেশেই নিষিদ্ধ হয়ে গেল পোকেমন গো!


হামলার পরই এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। হাসপাতাল ও সংলগ্ন এলাকা ঘিরে রেখেছে ফ্রন্টিয়ার কর্পসের বাহিনী। প্রাথমিক অনুমান, বিস্ফোরণ ঘটায় এক মানববোমা। এরপরই গুলি চালাতে শুরু করে দুই দুষ্কৃতী। আইনজীবী বিলালের ওপর হামলার সঙ্গে হাসপাতালের বিস্ফোরণে সম্পর্ক আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।