সেলিম রেজা: সারা বাংলাদেশে বৃষ্টি অব্যাহত থাকার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এদিন সকালের বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে রাজধানীবাসী। অফিসগামী সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি। তবে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির প্রবণতা কমে আসবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর। তবে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বড় রাস্তাগুলোতে জল না উঠলেও অনেক এলাকার অলিগলিতে জল জমে গেছে। বৃষ্টির কারণে কাদাজলে ছয়লাপ সবদিক। ভোরের বৃষ্টিতে অনেক পড়ুয়াও সোমবার স্কুলে যেতে পারেনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, US Aid to Bangladesh: স্বস্তি ইউনূস সরকারের, বাংলাদেশকে ২০ কোটি ডলার সহায়তা দিচ্ছে আমেরিকা


এই অবস্থায় শুধু স্কুল বা বেসরকারি অফিসযাত্রীদেরই নয় সরকারি অফিস, কলেজের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিও একই । তবে তাদের চেয়েও বেশি ভোগান্তিতে আছেন রাস্তার পাশে রাত কাটানো মানুষগুলো। পলিথিনের ভেতরে নিজেকে গুঁটিয়ে রাত কাটিয়েছেন অনেকে। রিকশাচালকদের ভোগান্তিও ছিল সীমাহীন। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘নিম্নচাপের প্রভাবে আকাশে মেঘমালা থাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। আগামীকাল পর্যন্ত বৃষ্টি থাকতে পারে। এরপর কমে আসবে। নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্র বন্দর ও নদী বন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে আগের মতোই সমুদ্র বন্দরে ৩ এবং নদী বন্দরে ২ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।’


পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধ্বসের শঙ্কার কথাও জানান তিনি। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ৩২ মিলিমিটার। বাংলাদেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে পটুয়াখালিতে ২২৩ মিলিমিটার। এছাড়া বাংলাদেশের গোপালগঞ্জে ১৩৩, পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ১৮৯, বরিশালে ১৭৭, ভোলায় ১৩৪, বাগেরহাটের মোংলায় ৯৮, সাতক্ষীরা ও সীতাকুন্ডে ৯৪ এবং কক্সবাজারে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।


বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, বাংলাদেশের দক্ষিণপূর্বাঞ্চল এবং আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি ঘণীভূত হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে যশোর ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি বর্তমানে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় আছে।


ভারী বর্ষণের সতর্কবাণীতে বলা হয়েছে, স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে বাংলাদেশের রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও আজ ভোর ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে।



আরও পড়ুন, Bangladesh: ভারী বৃষ্টিতে জলের তলায় কক্সবাজার, থামছে না মৃত্যুমিছিল


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)