নিজস্ব প্রতিনিধি : ''...'মা' আমার জীবনের মুকুট, তাই সমাবর্তন হ্যাটটা মায়ের। 'আব্বা' সারাজীবনই আগলে রেখেছেন সব আঘাত থেকে, তাই গাউনটা কৃষক বাবার ঘামে ভেজা শরীরটাতেই বেশি মানায়। আর 'আমি' বাকি জীবনটা এভাবে যেন মধুর এ ভার নিতে পারি'। ভাই'টাকে প্রচন্ড মিস করছি। এই আমার সমাবর্তন।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  আইএমএফ-র চিফ ইকোনমিস্ট হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ


সোশ্যাল সাইটে ওয়ালি-উল্লাহের লেখা এই কথাগুলোর পর বোধ হয় আর বেশি কিছু লিখতে হয় না। সবটাই বলা হয়ে গিয়েছে ওই ক'টা শব্দে। এক দরিদ্র বাবার সন্তান। বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগ থেকে স্নাতক পাশ করেছেন এই যুবক। কাল, শনিবার, বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন উত্সব। তার আগেই অবশ্য শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আনন্দে মেতেছেন। আর সেখানেই ওয়ালি-উল্লাহ তাঁর মা-বাবাকে নিয়ে গিয়েছিলেন। মায়ের মাথায় হ্যাট আর বাবার গায়ে গাউন পরিয়ে রিক্সায় চেপে একখানা ছবি তুলেছিলেন তিনি। সেই ছবি সোশ্যাল সাইটে উঠতেই নিমেশ ভাইরাল হয়। 


আরও পড়ুন-  নিয়ন্ত্রণরেখা পার করেনি চপার, গুলি চালনার দায় ভারতের ওপরেই চাপাল পাকিস্তান


অনেক ক্ষেত্রেই আমরা ভাইরাল হওয়া সব কিছুর সত্যতা যাচাইয়ের প্রয়োজন বোধ করি না। অনেক সময় ভাইরাল হওয়া ছবি বা ভিডিও-র পিছনের গল্পটা থাকে একরকম, আর আমাদের কাছে কেউ বা কারা তুলে ধরেন অন্য গল্প। আমরা বেমালুম স্রোতে গা ভাসিয়ে দিই। লাইক, কমেন্টস, রিঅ্যাকশন দিয়ে রাগ, দুঃখ, আনন্দ, হতাশা, ভালবাসা, শ্রদ্ধা জাহির করি। বহু ক্ষেত্রেই কিন্তু আমরা ভুল কারণেই প্রতিক্রিয়া জাহির করে ফেলি। ওয়ালি-উল্লাহের এই ঘটনাটা তাঁর উদাহরণ। দরিদ্র পরিবারের এক গর্বিত সন্তান তাঁর বাবা-মাকে কুর্ণিশ জানাতে চেয়েছিলেন। চেয়েছিলেন, তিনি জীবনে যেটুকু সাফল্য পেয়েছেন তাঁর সিংহভাগ কৃতিত্ব বাবা-মাকে দিতে। সেই কৃতজ্ঞতা বোধ ওয়ালি-উল্লাহ প্রকাশ্যে আনতে চেয়েছিলেন। গোটা দুনিয়াকে জানাতে চেয়েছিলেন, বাবা-মায়ের ঋণ মেটানো যায় না। তবে কৃতজ্ঞতা বোধটুকু জাহির করা যায় অনায়াসেই। কিন্তু সেখানেও মুশকিল। আসলে বাংলাদেশের এই যুবা কৃষক বাবার সন্তান। কিন্তু তাঁর এই পোস্ট ভাইরাল হতেই গুজব হয়, তাঁর বাবা আদতে নাকি একজন রিক্সাচালক। ওয়ালি-উল্লাপ পরে পুরোটাই খোলসা করেন। ফের এক পোস্টে লেখেন, ''আমি 'কৃষক' বাবার সন্তান। আব্বা সারাজীবন আমাদের জন্য কষ্ট করেছেন, এখনও করছেন। পরিবারে, আমাদেরকে উনি শুধু দিয়েই গিয়েছেন, বিনিময়ে কিছুই দিতে পারিনি এখনও। ওনার শরীরও ভাল যাচ্ছেনা এখন খুব একটা। তাই আমার সমাবর্তনে একান্ত ভালোলাগার, ভালোবাসার কিছু মুহূর্ত উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি।''