চিন থেকে নির্বাসিত অক্ষর `এন`
সংবিধান সংশোধন করে দ্বিতীয়বারের জন্য চিনের রাষ্ট্রপতি হয়েছেন শি জিনপিং। এবার প্রশ্ন উঠেছে চিনের রাষ্ট্রপতি হিসেবে আজীবন তিনিই মসনদে থাকবেন কি না? এ সংক্রান্ত বিতর্কে এখন সেদেশের সোশ্যাল মিডিয়া দ্বিধা বিভক্ত। তার জেরেই পরিস্থিতি সামলাতে ইতিমধ্যে ইংরাজি অ্যালফাবেট `এন` সহ বেশ কয়েকটি ফ্রেজ ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন ওয়েবসাইট ট্র্যাকার `দ্যা গ্রেট ফায়ারওয়াল অফ চায়না`।
নিজস্ব প্রতিবেদন : সংবিধান সংশোধন করে দ্বিতীয়বারের জন্য চিনের রাষ্ট্রপতি হয়েছেন শি জিনপিং। এবার প্রশ্ন উঠেছে চিনের রাষ্ট্রপতি হিসেবে আজীবন তিনিই মসনদে থাকবেন কি না? এ সংক্রান্ত বিতর্কে এখন সেদেশের সোশ্যাল মিডিয়া দ্বিধা বিভক্ত। তার জেরেই পরিস্থিতি সামলাতে ইতিমধ্যে ইংরাজি অ্যালফাবেট 'এন' সহ বেশ কয়েকটি ফ্রেজ ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন ওয়েবসাইট ট্র্যাকার 'দ্যা গ্রেট ফায়ারওয়াল অফ চায়না'।
টুইটারের মতো চিনের সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট 'ওয়েবো'তে নেটিজেনরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় অত্যন্ত সক্রিয়। আলোচনা থেকে তাদের আগ্রহ সরাতেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে দাবি মার্কিন শিক্ষাবীদ ভিক্টর মায়ারের। তাঁর মতে, ম্যান্ডারিনে ইংরাজি বর্ণ 'এন' ব্যবহার করা হয় একটি বিশেষ অর্থে। যার বাংলা করলে হয়, 'ক্ষমতায় কতবারের জন্য থাকবেন?' বিষয়টি সামনে আসার পরই 'এন(N)' বর্ণটির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- মাঝ আকাশে পর্ন দেখে উত্তেজিত, বিমানসেবিকার সঙ্গে অসভ্যতা বাংলাদেশি যুবকের
ইতিমধ্যেই শি জিনপিং দ্বিতীয়বারের জন্য রাষ্ট্রপতি হওয়ায় চিনে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। 'ওয়েবো'তে একাধিক ফ্রেজ ও শব্দকে কোড হিসেবে ব্যবহার করে জনমত গঠনের কাজ শুরু করেছেন দেশের কিছু বিক্ষুব্দ নেটিজেন। চিনা সরকারের ধারণা, বাইরের কিছু শক্তি এই কাজে ইন্ধন দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত ২৫ ফেব্রুয়ারি চিনের কমিউনিস্ট পার্টি প্রস্তাব দেয়, প্রেসিডেন্ট পদের জন্য সেদেশে যে বিধি নিষেধ রয়েছে তা যেন তুলে নেওয়া হয়। এরপরই দেশজুড়ে এর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধ মত সামনে আসতে থাকে।