ওয়েব ডেস্ক: ভ্যাটিকানে বাঙালিয়ানা। মাদারকে সন্ত ঘোষণার অনুষ্ঠানে স্বতন্ত্র উপস্থিতি বজায় রাখল বাংলা। হোটেল থেকে সেন্ট পিটার্স স্কোয়ার হেঁটে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা গানে মুখরিত হল রোমের রাস্তা। বিদেশে তিনি খুব একটা যেতে চান না। কিন্তু ভ্যাটিকানে মাদারকে সন্ত ঘোষণার অনুষ্ঠানে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির আমন্ত্রণ আসতেই এক কথায় রাজি হয়ে যান মমতা। সন্ত একদিন হেঁটে বেড়াতেন এই কলকাতায়। মাদার টেরেসা এখন সেন্ট টেরেসা অফ কলকাতা। তাই ক্যাননাইজেশনে বাংলার স্বতন্ত্র উপস্থিতি যাতে বজায় থাকে সে কথা গোড়া থেকেই মাথায় ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি ঠিক করে ফেলেন রবিবার হোটেল থেকে সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে হেঁটে যাবে টিম বাংলা। গাওয়া হবে গান। শনিবার রাতে হোটেলের ঘরেই হয়ে যায় তার মহড়া।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন দেশের সবথেকে রোম্যান্টিক ঋষিমুনি, অপ্সরা ধ্যান কী ভাঙাবে, উর্বশীরাই তাঁর প্রেমে পাগল!


হোটেল গ্র্যান মেলিয়া থেকে সেন্ট পিটার্স স্কোয়ার। মিনিট কুড়ির হাঁটা পথ। ক্যাননাইজেশন শুরুর বেশ কিছুক্ষণ আগেই হোটেল থেকে বেরিয়ে এল টিম বাংলা। সামনে মুখ্যমন্ত্রী। মাদারের মতোই নীল পাড়া সাদা শাড়ি। পাশে  নীল পাঞ্জাবি সাদা ধুতিতে ডেরেক ও' ব্রায়েন। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও নীল পাজামা-পাঞ্জাবিতে। বোঝা গেল শুধু নিজেই নন, বিশেষ দিনে সতীর্থদের পোশাক কীরকম হবে সে দিকেও কড়া নজর মুখ্যমন্ত্রীর। মাদারকে সন্ত ঘোষণার ক্ষণে রোমের রাস্তা মুখরিত হল বাংলা গানে। তাঁর গান, যাঁকে অনেকদিন আগেই সন্তের আসনে বসিয়েছে বাঙালি। পদযাত্রায় গাওয়া হয় আরও দুটি গান। মঙ্গলদীপ জেলে ও  বিশ্বপিতা তুমি হে প্রভু। এ দিন টিম বাংলার প্রতিনিধিদের বুকে ছিল বিশেষ ব্যাজ।তাতে লেখা WITH HOMAGE FROM THE CITY OF MOTHER, KOLKATA. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করেন, সন্ত ঘোষণার অনুষ্ঠানে সামনের দিকে VIP-দের জন্য নির্ধারিত জায়গায় তাঁর আসন নির্দিষ্ট হলেও সেখানে বসবেন না । পিঙ্ক পাসের বদলে অরেঞ্জ স্টিকার নিয়ে পিছনের দিকে কলকাতা থেকে যাওয়া মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সদস্যদের সঙ্গে বসে প্রত্যক্ষ করবেন মাদারের সন্ত হওয়ার মুহূর্ত। তবে, সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে ঢুকতেই মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সুপিরিয়র জেনারেল সিস্টার প্রেমা মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে টেনে নিজের পাশে বসান। সে খানে বসেই অনুষ্ঠান দেখেন মুখ্যমন্ত্রী।


আরও পড়ুন মহানায়কের ২১১ ছবির নাম দিয়ে কবিতা



ভারতে জন্ম না হলেও এই বাংলার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর সেবার অভিজ্ঞান। মাদারকে সন্ত ঘোষণার সাক্ষী থাকতে ভ্যাটিকানে উপস্থিত ছিলেন বহু বাঙালি। মিশনারিজ অফ চ্যারিটির বাঙালি সন্ন্যাসিনীরা তো ছিলেনই। কলকাতার নির্মলা শিশু ভবন থেকে পনেরো জন শিশুকে নিয়ে আসা হয় ভ্যাটিকানে। ভ্যাটিকানে ব্যবসা করেন অনেক বাংলাদেশি। মাদারকে সন্ত ঘোষণা, সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখার সুযোগ। পদ্মাপারের বাঙালিদের মধ্যেও ছিল যথেষ্ট উত্‍সাহ। সব মিলিয়ে সেন্ট পিটার্স স্কোয়ার এদিন হয়ে ওঠে বাঙালির মিলনক্ষেত্র।


আরও পড়ুন  জেনেই হোক অথবা না জেনেই, নীল আলো শহরে বসানোর জন্য ধন্যবাদ দিতে চাই মুখ্যমন্ত্রীকে