Berlin: স্পর্শদুষ্ট নগ্ন নারীমূর্তিও! উত্তুঙ্গ স্তন-নিতম্বে কামস্পর্শ রেখে যাচ্ছেন অগণিত পুরুষ...
Tale of Sexual Harassment of Female Statues: জানা গিয়েছে, পুরুষ দর্শকেরা এই মিউজিয়মে এসে নারী ভাস্কর্যগুলির স্তনে, নিতম্বে এবং ঊরুসংযোগস্থলে নিয়মিত হাত দিয়ে দিয়ে সেগুলিকে নষ্ট করে ফেলেছেন। এবং সম্প্রতি তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মূর্তি তো মূর্তিই! মূর্তি কি কাম উদ্রেক করে? বিখ্যাত বাঙালি নীরদচন্দ্র চৌধুরী তাঁর একটি লেখায় অকপটে স্বীকার করেছিলেন, বিদেশের এক মিউজিয়মে একটি নগ্ন নারীমূর্তির ভাস্কর্য দেখে তাঁর পুরুষশরীরে শিহরন অনুভব করেছিলেন তিনি! তিনি শিল্পের বিশুদ্ধতা, শিল্পের উচ্চতা নিয়ে নানা আলোচনাও সেরেছিলেন। তবে এবার জার্মানির যে-ঘটনা সামনে এসেছে, তাতে তাঁর ওই শিহরনটুকুতেই আর বিষয়টি বেঁধে রাখা যাচ্ছে না। সেটি রীতিমতো একটি 'যৌন অপরাধে' পরিণত!
আরও পড়ুন: একদা-'শিয়ালদ্বীপ' থেকে অধুনা রেলস্টেশন সেজে উঠছে নতুন করে! জেনে নিন কী কী পরিবর্তন...
কী অপরাধ?
জানা যাচ্ছে, বিদেশের তিন শহরের তিন সংগ্রহশালায় রক্ষিত নগ্ন নারীমূর্তির ভাস্কর্যের উপরে নিছক দৃষ্টিগত নয়, রীতিমতো শরীরী অত্যাচারও চালাচ্ছেন পুরুষ দর্শকেরা।
কী রকম অত্যাচার?
জানা গিয়েছে, পুরুষ দর্শকেরা এই মিউজিয়মে এসে নারী ভাস্কর্যগুলির স্তনে, নিতম্বে এবং ঊরুসংযোগস্থলে নিয়মিত হাত দিয়ে দিয়ে সেগুলিকে নষ্ট করে ফেলেছেন। এবং সম্প্রতি তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে।
কাম একটা ইমপালস। একটা প্রবৃত্তি। সেই প্রবৃত্তিকে নানা ভাবে প্রকাশ করার, তার নানা ললিত বিভঙ্গ ও অনুশাসন নিয়ে বিশ্বজুড়ে কম চর্চা হয়নি। ভারতের কামশাস্ত্র তো এ বিষয়ে অগ্রণী। শরীরের উদযাপন, কামের উৎসব, তৃষ্ণার নিবৃত্তির কত যে শিল্পিত বহিঃপ্রকাশ। মানুষ কামকে ঘৃণা করে না, বরং তাকে জীবনযাপনে আতিথ্য দেয়। কিন্তু সেটা অন্য দর্শন।
জার্মানির এই মিউজিয়মগুলিতে যেটা ঘটেছে, সেটিকে কিন্তু এই শরীরের উদযাপন, কামের উৎসব, তৃষ্ণার নিবৃত্তির শিল্পিত বহিঃপ্রকাশে বাঁধা যাচ্ছে না। বরং এটিকে 'নোংরামি' 'অসভ্যতা'-ই বলছেন একদল মানুষ। উঠেছে কড়া প্রতিবাদের ঢেউ। এমন যে, জার্মানির নারী অধিকার রক্ষা সংগঠনগুলি এ নিয়ে আন্দোলনেও নেমে পড়েছে।
আরও পড়ুন: Brazil’s Javari valley: দলে দলে অসুস্থ! ফের কি কোনও নতুন বিপদ ধেয়ে আসছে? আবার অতিমারি?
যে তিনটি নারী ভাস্কর্য বিশেষ করে লাঞ্ছিত হয়েছে পুরুষ পথচারী তথা পুরুষ দর্শকদের হাতে সেগুলি হল-- মিউনিখের জুলিয়েট ক্যাপুলেট স্ট্যাচু, ব্রেমেনস হোয়েতজারহফের ইয়ুথ স্ট্যাটু এবং সেন্ট্রাল বার্লিনের নেপচুন ফাউন্টেনের ফ্রাউ রেহইন স্ট্যাটু।