নিজস্ব প্রতিবেদন: বড়দিনের আগে উত্তরপূর্ব নাইজেরিয়ায় বড়সড় হামলা চালাল বোকো হারাম(Boko Haram)জঙ্গিরা। অনুষ্ঠান চলাকালীন একটি গীর্জায় হামলা চালিয়ে ১১ জনকে হত্যা করল জঙ্গিরা। পাশাপাশি অপহরণ করা হল গীর্জার যাজককে-সহ ৭ জনকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার  সন্ধেয় বোরনো প্রদেশের পেমি গ্রামে ট্রাক ও বাইকে চড়ে হাজির হয় জঙ্গিরা। গ্রামে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একের পর এক বাড়িতে। এরপর ওই গির্জায় ঢুকে চালান হয় হত্যালীলা। অরপহরণ করা হয় যাজক সহ ৭ জনের। সেকথা সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে বলেছে জঙ্গি নেতা আবওয়াকু কাবু।


আরও পড়ুন-জম্মু ও কাশ্মীরে Ayushman Bharat প্রকল্পের সূচনা অনুষ্ঠানেও বাংলাকে খোঁচা মোদীর 


কাবু জানিয়েছে, 'মোট ১০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে ৭ জনকে। উত্সবের জন্য গীর্জায় যে খাবার মজুত করা হয়েছিল তা লুঠ করা হয়েছে।  পরে গীর্জার পাশের ঝোপ থেকে আরও ৪ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।'


বোরনো প্রদেশের পাশেই রয়েছে সাম্বিসা অরণ্য। সেখানে থেকে এসেছিল জঙ্গিরা। এমনটাই জানিয়েছে নাইজেরিয়ার পুলিস। গীর্জায় হামলার আগে তার এলাকার একটি হাসপাতালেও হামলা চালায়। সেখান থেকে লুঠ করে নিয়ে যায় ওষুধ ও অন্যান্য সরঞ্জাম। বছর ছয়েক আগে এই পেমি গ্রাম থেকে ২০০ স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। বৃহস্পতিবারই খ্রিষ্টান অধ্যুসিত গারকিডাতেও হামলা চালায় জঙ্গিরা।


আরও পড়ুন-একই পরিবারে এতজনের এতগুলো পদ, তখন লজ্জা করেনি? শুভেন্দুকে পাল্টা Kunal Ghosh-এর


উল্লেখ্য, নাইজেরিয় পুলিস আগে থেকেই সতর্ক করেছিল বড়দিনের উত্সবে হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। দেশের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বুহেরি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে বোকো হারামের হামলা থেকে রক্ষা করার যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকেও ওই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তা নাহলে এদের রোখা যাবে না।