নিজস্ব প্রতিনিধি : ২৮ বছরের এক মুসলিম মহিলা বোরখা পরে ডেনমার্কের এক রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। যার জেরে তাঁকে জরিমানা করা হয়। সে দেশের নিয়ামনুযায়ী, কোনও অবস্থাতেই কেউ পুরো শরীর ঢাকা কোনও পোশাক পরে রাস্তায় বেরোতে পারবেন না। এমন শাস্তির পর থেকেই ডেনমার্কের নিয়মের গেরো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে। সেই তালিকায় ছিলেন ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ ও ইতিহাসবিদ বরিস জনসন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি একটি জনপ্রিয় খবরের কাগজে একটা কলম লেখেন। আর তাতে ঘটনার নিন্দা করার পরিবর্তে এমন কিছু কথা লিখে ফেললেন যে বিতর্ক ঘিরে ধরল এবার তাঁকেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  আদৌ কি সরকার গড়তে পারবেন ইমরান?


নিজের কলমে বরিস লিখলেন, ''বোরখা পরা মহিলাদের সাধারণত ব্যাঙ্ক ডাকাতদের মতো দেখতে লাগে। অথবা কখনও কখনও মনে হয় যেন একটা আস্ত ডাকবাক্স রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। বোরখা বা নিকাব পরে রাস্তায় বেরনোটা হাস্যকর দেখায়। এমন কোনও পোশাক যা কি না মুখ পর্যন্ত ঢেকে দিয়ে তা অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।'' বরিস জনসন শুধু ব্রিটেনে নয়, গোটা বিশ্বে একজন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব। তাঁর লেখা কলমে এমন কথা প্রকাশিক হওয়ার পর থেকে চারিদিকে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এমনকী বরিসের লেখার নিন্দা করেছেন স্বয়ং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-ও। তাঁর বক্তব্য, ''ভাষা ও শব্দ বাছার ক্ষেত্রে আমাদের সবার খুব সতর্ক থাকা উচিত। বরিস যেভাবে গোটা ব্যাপারটাকে ব্যাখ্যা করেছে তা মেনে নেওয়া যায় না। প্রতিটা ধর্মের মানুষের নিজস্ব কিছু সংস্কৃতি থাকে। মুসলিম মহিলাদের বোরখা বা নিকাব পরাটা তাদের ধর্মের অঙ্গ। সেটা নিয়ে কারও এই ধরণের মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।''


আরও পড়ুন-  লাদেনের বৌমা ৯/১১- হামলাকারীর মেয়ে!


কলম লেকা এম ন বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য পরে অবশ্য ক্ষমা চাইতেও অস্বীকার করেন বরিস। তাঁর সাফ যুক্তি, তিনি নিজের মনে কথা ব্যক্ত করেছেন। এতে কোনও ভুল নেই। বরিসের মুখপাত্র বলেছেন, ''কেউ স্বাধীনভাবে নিজের মন্তব্য প্রকাশ করতেই পারে। সেটাকে কোনও ইস্যুর সঙ্গে জুড়ে বিতর্ক তৈরি করাটা হাস্যকর। অকারণে কারও ব্যক্তিগত মতামতকে বিতর্কের নাম দেওয়াটা উচিত নয়।'' এমন মন্তব্যের জন্য বরিসের সমালোচনা করেছেন তাঁর সতীর্থরা।