নিজস্ব প্রতিবেদন: জল, স্থল এবং অন্তরীক্ষ যে কোনও ক্ষেত্রে নিখুঁত হামলায় পারদর্শী রুশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে তৈরি ব্রহ্মস। অন্তরীক্ষ থেকে শব্দের চেয়েও কয়েক গুন গতিতে অন্তত ২৯০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম এই সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। মনে করা হয়, এমন অস্ত্র ন্যাটো বাহিনীর হাতেও নেই। ভারতের পকেটে ব্রহ্মস থাকায় তাই কিছুটা ব্যাকফুটে শত্রুপক্ষ। তবে, চিন দাবি করছে ব্রহ্মসের থেকেও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে তাদের। এমনকি ব্রহ্মসকে চ্যালেঞ্জও করতে পারে চিনের তৈরি এইচডি-১ নামে সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- কর্নাটকে টিপু জন্মজয়ন্তী পালনে বিক্ষোভ বিজেপি সমর্থকদের, অনুষ্ঠানে গরহাজির মুখ্যমন্ত্রী


শুক্রবার, দক্ষিণ চিনের গুয়াংডং প্রদেশের ঝুহাইয়ে ‘এয়ারশো চিন ২০১৮’ অনুষ্ঠানে এইচডি-১-র ফিচার প্রকাশ্যে নিয়ে এল গুয়াংডং হংডা ব্লাস্টিং নামে একটি সংস্থা। ওই সংস্থার দাবি, অক্টোবরে পরীক্ষা করা হয়েছে সলিড প্রপেলড র্যামজেট-সহ ক্ষেপণাস্ত্রটি। কমপক্ষে ২.২ থেকে ৩.৫ মাচ (সুপারসনিক গতি) গতিতে ২৯০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত চিনা ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হানার সক্ষম রয়েছে। ওজন প্রায় ২,২০০ কিলোগ্রাম। এইচডি-১ আকাশে সর্বোচ্চ ১৫ কিলোমিটার এবং সমুদ্রের পৃষ্ঠ ৫ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত বিচরণ করতে পারে। এমনকি, ৫ মিনিটের মধ্যে হামলা করতে প্রস্তুত হয়ে যায় ক্ষেপণাস্ত্রটি। তার পরের ক্ষেপণাস্ত্র আবার মাত্র ১০ সেকেন্ডে তৈরি থাকে।


আরও পড়ুন- মাওবাদে যে দল বিপ্লব দেখতে পায় তারা রাজ্যের ভালো করতে পারে না, কংগ্রেসকে নিশানা অমিতের


চিন এই সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র  প্রকাশ্যে আনলেও, ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, চিনা ক্ষেপণাস্ত্রটির থেকে বেশি গতিতে আঘাত আনতে সক্ষম ব্রহ্মস। সূত্রের খবর, ২.৩ থেকে ৩.০ মাচ (ঘণ্টায় ৩৪০০ কিলোমিটার থেকে ৩৭০০ কিলোমিটার) পর্যন্ত গতি ব্রহ্মসের। কিন্তু ৫ মাচ পর্যন্ত ব্রহ্মসের গতি বৃদ্ধি করা যেতে পারে। ইতিমধ্যে ভারত ব্রহ্মস ২ তৈরি করছে, যার গতি ৭-৮ মাচ পর্যন্ত থাকবে। উল্লেখ্য, ব্রহ্মস কিন্তু যে কোনও শক্তিশালী এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। বায়ুসেনা ব্রহ্মসকে ‘এয়ারক্র্যাফ্ট কিলার’ হিসাবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, চিন যতই তাদের ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে আস্ফালন করুক না কেন, ভারতে এই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’কে সামলে চলবে ড্রাগনের দেশ।