নিজস্ব প্রতিবেদন:  করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চলেছে চিন। সাত দিনের মধ্যে শুধুমাত্র করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি হাসপাতাল তৈরি করতে চলেছে ভারতের প্রতিবেশী দেশ। চিন সরকারের নির্দেশে হুনানে ছয় একর জমিতে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল তৈরির কাজ চলছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে এই হাসপাতালে রোগীদের চিকিত্সার কাজ শুরু হয়ে যাবে। হুয়োশেনশ্যান, মানে আগুনের দেবীর নামে হাসপাতালের নামকরণ করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চিনের সাবেক চিকিত্সা পদ্ধতির পাঁচটি উপাদানের মধ্যে আগুন মানুষের ফুসফুসের পরিচায়ক। মারণ করোনা ভাইরাসের জীবাণু মানুষের ফুসফুসের উপরই আক্রমণ করে। সেই জন্যই আগুনের দেবীর নামে হাসপাতালের নামকরণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে। চিন সরকারের চারটি সংস্থা চায়না কনস্ট্রাকশন থার্ড ইঞ্জিনিয়ার ব্যুরো, উহান কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ, উহান মিউনিসিপাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন এণ্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং উহান হানইয়ান মিউনিসিপাল কনস্ট্রাকশন গ্রুপ হাসপাতাল তৈরির কাজ করছে।


আরও পড়ুন- ৮৩ যাত্রী নিয়ে আফগানিস্তানের তালিবান প্রভাবিত ইয়াকে ভেঙে পড়ল বিমান



করোনা ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে একটা হাসপাতাল তৈরি করেই থামছে না চিন সরকার। হুবেই এবং হেনান প্রান্তে আরও তিনটি অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করতে চলেছে চিন। উহান প্রান্তে ১৫০০ শয্যার এই দ্বিতীয় হাসপাতালটি তৈরি হচ্ছে। যেখানে চিকিত্সক এবং কর্মী নিয়ে প্রায় ২ হাজার মানুষ কাজ করবেন। শনিবার থেকে কাজ শুরু হয়ে গেছে লেইশ্যানশ্যান হাসপাতালের। চিনে বজ্রের দেবীকে লেইশ্যানশ্যান বলা হয়।


আরও পড়ুন- ভিডিয়ো: ছুটন্ত বাইকে সিটে বসেই শ্যাম্পু মেখে স্নান ২ যুবকের


চিনের সংস্কৃতি অনুযায়ী বজ্রের দেবী দুরাত্মাকে শাস্তি দেন। সেই মতোই লেইশ্যানশ্যন হাসপাতাল করোনা ভাইরাসকেও শেষ করবে বলে বজ্রের দেবীর নামে হাসপাতালের নামকরণ করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি হুয়াঙগ্যাং প্রান্তে একটি হাসপাতালকে সংস্কারের পর পুরোপুরিভাবে করোনা ভাইরাস রোগীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এই হাসপাতালে একহাজার রোগীর চিকিত্সা করা যাবে। শুধু তাই নয় ঝেঙঝাউ প্রান্তে একটি হাসপাতালকে দশদিনের মধ্যে তৈরি করে করোনাভাইরাস রোগীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই নতুন বছরের ছুটির মেয়াদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে চিন সরকার। যাতে অধিকাংশ মানুষ বাড়িতেই থাকে।