নিজস্ব প্রতিবেদন: সান্ত্বনার বার্তা দিলেও ভারতের পাশে রইল না চিন। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর, এই ঘটনার ‘ব্যাকবোন’ জইশ-ই-মহম্মদকে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন’ তকমা দেওয়ার যে জোরালো সওয়াল করেছে ভারত, তাতে সাড়া দিল না বেজিং। তাদের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের কড়া সমালোচনা করছে চিন। সন্ত্রাস দমনে প্রতিবেশী সব দেশকে পাশে থাকারও বার্তা রাখা হচ্ছে। তবে, জঙ্গিসংগঠনের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, বেজিংয়ের জবাব, এ বিষয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১২৬৭ কমিটির স্পষ্ট কিছু শর্ত রয়েছে। আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের তালিকায় নাম রয়েছে জইশের। অত্যন্ত সাবধানতা এবং দায়িত্বের সঙ্গে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পদক্ষেপ করবে চিন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  আলোচনার মধ্যে দিয়েই জঙ্গি সমস্যার সমাধান করতে হবে, মন্তব্য সিধুর


শুক্রবার, ক্যাবিনেটের নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠকের পর, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, কূটনৈতিক স্তরে সব রকম ভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে নয়া দিল্লি। জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখা হবে না। পাশাপাশি, পাকিস্তানকে দেওয়া ‘সর্বাধিক সুবিধাপ্রাপ্ত দেশ’ (মোস্ট ফেভারড নেশন) তকমা তুলে নিচ্ছে ভারত। অর্থাত্ পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার চূড়ান্ত পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার। উরি হামলার পর যে সিদ্ধান্তটা নিতে পারেনি, গতকালের পুলওয়ামায় নারকীয় জঙ্গি হামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কড়া পদক্ষেপ করল মোদী সরকার।


বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় সিআরপিএফের সেনা কনভয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেনা বাসে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৪ জওয়ানের শহিদের খবর মিলেছে। আহত অন্তত ৩৯ জওয়ান। যদিও সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, নিহতের সংখ্যা ৪০। এর মধ্যে ৩৬ জনের শনাক্ত করা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ মাসুদ আজহারের ‘জইশ-ই-মহম্মদ’ জঙ্গি সংগঠন। এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে আন্তর্জাতিক মহলেও।


আরও পড়ুন- পুলওয়ামা হামলার ছক ৬ মাস আগেই, পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ আদিলকে : সূত্র


পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সর্বোতভাবে ভারতে পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়ে সে দেশের বিদেশ মন্ত্রক তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, “জঙ্গিদের আশ্রয় এবং সমর্থন রুখতে যে প্রস্তাব রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব গৃহীত হয় তা সব দেশকে কার্যকর করতে আহ্বান করা হচ্ছে।” পাশাপাশি জঙ্গি দমনে কড়া ব্যবস্থা নিতে পাকিস্তানকে ফের বার্তা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।