আলোচনার মধ্যে দিয়েই জঙ্গি সমস্যার সমাধান করতে হবে, মন্তব্য সিধুর
সীমান্তে যখন রোজই কোনও সেনার মৃত্যু হচ্ছে সেখানে পাক প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে কেন এই মেহমানদারি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ে হামলা চালিয়েছে জইশ জঙ্গিরা। বৃহস্পতিবার ওই হামলার পর থেকেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।
আরও পড়ুন-বলে গিয়েছিলেন, 'তাড়াতাড়ি ফিরব'... কফিনবন্দি হয়ে ফিরছেন পুলওয়ামায় শহিদ নদিয়ার সুদীপ
শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, পাকিস্তানকে এই হামলার জন্য বড় মূল্য দিতে হবে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক স্তরে পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে কোণঠাসা করা হবে। পাশাপাশি, খোদ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন এই হামলার জবাব দেওয়ার জন্য সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হবে। হামলাকারীরা বড় ভুল করেছে।
Navjot Singh Sidhu: It is condemnable, it's a cowardly act. It needs a permanent solution through dialogue, how long will the Jawans sacrifice their lives? How long will the bloodshed continue? People who do this must be punished. Hurling abuses won't help. #PulwamaAttack pic.twitter.com/R927il2bx1
— ANI (@ANI) February 15, 2019
এতকিছুর পর কংগ্রেস নেতা সিধু বলেছেন একেবারে ভিন্ন কথা। সিধু এদিন বলেন, অত্যন্ত নিন্দাজনক ঘটনা। জঙ্গি সমস্যার স্থায়ী সমাধান আলোচনার মাধ্যমে করতে হবে। কতদিন এভাবে দেশের জওয়ানরা প্রাণ দেবে। কতদিন এভাবে রক্ত ঝড়বে। যারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি দিতে হবে। তাদের গালিগালাজ করে কিছু হবে না।
আরও পড়ুন-পুলওয়ামা হামলার প্রতিবাদে মোদীর ৮টি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য জেনে নিন
উল্লেখ্য, করতার পর করিডোরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে পাক সেনা জেনারেলকে আলিঙ্গন করে দেশে প্রবল হইটই ফেলে দেন সিধু। সীমান্তে যখন রোজই কোনও সেনার মৃত্যু হচ্ছে সেখানে পাক প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে কন এই মেহমানদারি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। এর জন্য প্রবল বিপাকে পড়ে যেতে হয় সিধুকে। এখন দেশের বিভিন্ন মহল থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্তা নেওয়ার দাবি উঠছে। এরকম এক সময়ে আলোচার কথা বলে ফের একদফা উত্তাপ বাড়ালেন সিধু।