জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চিন-তাইওয়ান টেনশন বহুদিনেরই। তবে, গত এক বছরে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে সেটি বেড়েছে। দুদেশের মধ্যে নানা টানাপোড়েন দেখা গিয়েছে। এর মধ্যে বছরের শেষ লগ্নে তাইওয়ানকে ঘিরে আবার 'সামরিক আগ্রাসন' শুরু করল চিন। জানা গিয়েছে, তাইওয়ানের দিকে ৭১টি যুদ্ধজাহাজ ও ৭টি জাহাজ পাঠিয়েছে তারা। এগুলির মধ্যে কিছু জাহাজ ইতিমধ্যে তাইওয়ান প্রণালী পেরিয়েও গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Afghanistan: তালিবান ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা নিষিদ্ধ করায় প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করল ছাত্ররাও...


কদিন আগেই সামরিক খাতে ব্যয়বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানের জন্য আলাদা করে অর্থবরাদ্দের কথাও তখন ঘোষণা করেছিল পেন্টাগন। আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত মোটেই ভাল চোখে দেখছে না চিন। চিনা সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কম্যান্ডের মুখপাত্র বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন, তাইওয়ানকে নিয়ে আমেরিকার প্ররোচনা ভালো ভাবে নিচ্ছে না চিন। আর সেই বক্তব্যের পরেই তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে সামরিক টহলদারি এবং সামরিক মহড়া চালানোর কথা ঘোষণা করে চিন।


আরও পড়ুন: Winter Storm: ১০ ফুট বরফের তলায় মানুষ-ঘরবাড়ি-গাড়ি, হিমাঙ্কের ৪৫ ডিগ্রি নীচে তাপমাত্রা! তুষারযুগ ফিরল?


তাইওয়ানকে অখণ্ড চিনের অংশ মনে করে বেজিং। এদিকে, আনুষ্ঠানিক ভাবে না হলেও তাইওয়ানকে স্বতন্ত্র দেশের মর্যাদাই দিয়ে থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে তাদের সামরিক বাজেটে তাইওয়ানের জন্য অর্থ বরাদ্দ করার সিদ্ধান্তকে চিনের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ হিসেবেই দেখছে চিন। তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে আমেরিকার এই আচরণকে একরকম ‘মদত’ হিসেবেই দেখছে চিন। আর সেই মদতের বিরুদ্ধেই তাইওয়ানকে ঘিরে চিন তাদের সামরিক মহড়া চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 


গত অগস্টে আমেরিকার হাউস অফ রিপ্রেজেন্টিটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক। সেই সময়েও এক মাসের বেশি সময় ধরে তাইওয়ান প্রণালীতে সামরিক মহড়া চালিয়ে গিয়েছিল চিন। এটা আসলে এক ধরনের চোখরাঙানি। ঠান্ডা হুমকিও বলা চলে। এর মাধ্যমে বলা-- দ্যাখো, আমাদের শক্তি কত, আমাদের সঙ্গে লড়তে এসো না!


তাইওয়ানকে দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে আসছে চিন। যদিও এজন্য তারা কোনওদিন কোনও সামরিক অভিযান করেনি। কিন্তু রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে চিন-তাইওয়ান নিয়েও নতুন করে সংকট ঘনাচ্ছে। এমনিতে তাইওয়ান নিয়ে উচ্চবাচ্য না করলেও যখনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান নিয়ে কিছু বলে তখনই দাঁত-নখ বার করে বেজিং। এবারও প্রায় তাই হল।


 (Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)